যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন, ট্রাফিক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে পরোয়ানা
চট্টগ্রামে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায় এক ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আজ বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–৭–এর বিচারক বেগম ফেরদৌস আরা এ আদেশ দেন। অভিযুক্তের নাম ইকবাল হোসেন। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত আছেন।
গত ২৬ আগস্ট ইকবালের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাটি করেন স্ত্রী সোনিয়া সামাদ। আদালত অনুসন্ধানের জন্য মিরসরাই উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। অনুসন্ধান শেষে দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, গাড়ি ও বাড়ির জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করেন ট্রাফিক সার্জেন্ট ইকবাল। বর্তমানে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা ইকবালের স্ত্রী।
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পর আদালত ট্রাফিক সার্জেন্ট ইকবালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
মামলার বাদী সোনিয়া মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জে একটি ক্লিনিকে চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। মামলার আরজিতে তিনি অভিযোগ করেন, চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি ইকবালের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। সোনিয়ার মা–বাবা ইতালিপ্রবাসী। বিয়ের পর থেকে স্বামী ইকবাল যৌতুকের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। ঢাকার সাভারে সোনিয়ার নামে থাকা পাঁচতলা বাড়ি ও ব্যবহৃত একটি ব্যক্তিগত গাড়ি ইকবালের নামে লিখে দিতে চাপ দিতে থাকেন। গত ৬ এপ্রিল ইকবাল তাঁর কাছ থেকে এক লাখ টাকা নেন। তবে স্বামীর নামে বাড়ি ও গাড়ি লিখে না দেওয়ায় প্রায়ই নির্যাতনের শিকার হতেন বলে অভিযোগ করেছেন সোনিয়া। সর্বশেষ ২৫ জুলাই জোরারগঞ্জের বাসায় যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারধর করেন ইকবাল।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইকবাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মামলা করার ১৫ দিন আগে স্ত্রীকে (মামলার বাদী) তিনি তালাক দিয়েছেন। যৌতুকের জন্য নির্যাতন করেননি।
তবে সোনিয়া সামাদ দাবি করেছেন তিনি কোনো তালাক নোটিশ পাননি। উল্টো ইকবালের হুমকিতে ভয়ে আছেন এবং বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে থানায় জিডি করেছেন বলেও জানান সোনিয়া।