যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার দায়ে এবাদুল হক মৃধা নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুস ছালাম খান এ আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত এবাদুল হক মৃধা (২৫) শরীয়তপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ ভাসানচর গ্রামের ছমেদ মৃধার ছেলে।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মির্জা হজরত আলী বলেন, যৌতুক না দেওয়ায় স্ত্রী খাদিজা আক্তার মধুকে হত্যা করেছে স্বামী এবাদুল হক। ওই মামলার এজাহারে সাতজন আসামি ছিলেন। পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে একজনের নাম আসে। আদালত এবাদুলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। আর বাকিদের খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে সদর উপজেলার চরচটাং গ্রামের খাদিজা আক্তারের সঙ্গে একই উপজেলার দক্ষিণ ভাসানচর গ্রামের এবাদুল হক মৃধার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে এবাদুল তাঁর স্ত্রী মধুকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিতে মারধর করতেন। ২০১৮ সালের ১৫ মে বিকেলে মধুর বাবার বাড়ি থেকে ৬০ হাজার টাকা যৌতুক আনার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন এবাদুল। যৌতুকের টাকা আনতে অস্বীকার করলে মধুকে প্রথমে মারধর করেন, পরে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন এবাদুল।
এ ঘটনায় ১৬ মে নিহত মধুর মা আমেনা বেগম (৫৬) পালং মডেল থানায় সাতজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় মধুর স্বামী এবাদুল হক মৃধা, ভাশুর শাহ আলম মৃধা, দ্বীন ইসলাম মৃধা, সাইদুল মৃধা, শ্বশুর ছমেদ মৃধা, শাশুড়ি রিজিয়া বেগম, জা রুজিনা বেগমকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে পালং মডেল থানার পুলিশ এবায়দুলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এবাদুল হক মৃধার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালতের বিচারক।