রংপুরে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া চার সন্তানের একমাত্র ছেলেসন্তানের মৃত্যু
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া চার সন্তানের মধ্যে একমাত্র ছেলেসন্তানটি মারা গেছে। জন্মের পর তার ওজন ছিল ১ কেজি ৩০০ গ্রাম। বাকি তিন কন্যা নবজাতককে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতালের চিকিৎসক মনিকা মজুমদার বলেন, বাকি তিন সন্তান সুস্থ আছে।
এদিকে চার সন্তানের মধ্যে একমাত্র ছেলেসন্তানটি মারা যাওয়ায় বাবা মনিরুজ্জামানের মন বিষণ্ন। তিনি বাকি তিন সন্তানের জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেছেন।
বিয়ের আট বছর পর আদুরী বেগম নামের এক গৃহবধূ গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিন মেয়ে ও এক ছেলেসন্তানের জন্ম দেন। জন্মের পরপরই ওই চার নবজাতককে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কিন্তু জন্মের ১৬ ঘণ্টা পর আজ বেলা দেড়টায় ছেলেটি মারা যায়।
ওই গৃহবধূ কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নাদিরা গ্রামের মনিরুজ্জামানের স্ত্রী। আট বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর তিনি অন্তঃসত্ত্বা হন। গতকাল সকালে চিকিৎসকদের পরামর্শে আদুরী বেগমকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চার সন্তানের জন্ম দেন তিনি।
মনিরুজ্জামান বলেন, ১ মার্চ আলট্রাসনোগ্রাম করে একসঙ্গে চার সন্তান গর্ভধারণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর চিকিৎসকের পরামর্শে খুবই সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করতে হয়েছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার (প্রসূতি বিভাগ) ফারহানা ইয়াসমিন প্রথম আলোকে বলেন, গর্ভধারণের আট মাসে চার নবজাতকের জন্ম হয়। এর মধ্যে শুধু ছেলে নবজাতকের ওজন কম ছিল। বাকি তিন কন্যা নবজাতকের ওজন ও গঠন ঠিক আছে। বর্তমানে তারা সবাই সুস্থ আছে।