রংপুরে টিকাপ্রত্যাশীদের আগ্রহ বাড়ায় নতুন ৩টি কেন্দ্র

পাবলিক লাইব্রেরি হল টিকাকেন্দ্রে টিকাপ্রত্যাশীদের মধ্যে পুরুষদের তুলনায় নারীদের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে
ছবি: মঈনুল ইসলাম

রংপুরে করোনা টিকাপ্রত্যাশীদের ভালো সাড়া পেয়ে এবং মানুষের বিড়ম্বনা কমাতে আরও নতুন তিনটি টিকাকেন্দ্র চালু করা হয়েছে। নতুন এই তিনটি কেন্দ্রে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

নতুন টিকাকেন্দ্রগুলো হলো জুম্মাপাড়া নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র, মাহিগঞ্জ নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও আশরতপুর নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র। গতকাল মঙ্গলবার থেকে নতুন কেন্দ্রগুলোতে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এদিকে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি হলে প্রথম ডোজ ও রংপুর মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান অপরিবর্তিত আছে।

সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, নতুন তিনটি কেন্দ্রসহ এখন মোট চারটি কেন্দ্রে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হবে। এর আগে দূরদূরান্ত থেকে মানুষকে টিকা নিতে পাবলিক লাইব্রেরি হলে আসতে হতো। এ ধরনের বিড়ম্বনা থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে নগরের নতুন কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে আরও নতুন কেন্দ্র করা হবে বলে জানা গেছে।

আজ বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, নতুন কেন্দ্র চালু হলেও পাবলিক লাইব্রেরির হলেই টিকাপ্রত্যাশীদের ভিড় সবচেয়ে বেশি। হলের সামনে থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশ দিয়ে পুরো পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে টিকাপ্রত্যাশিদের ভিড়। টিকাপ্রত্যাশীদের মধ্যে পুরুষদের তুলনায় নারীদের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। এদিকে গেল দুদিন বৃষ্টির পর আজ রোদ ওঠায় টিকা নিতে আসা মানুষের সংখ্যাও বেড়েছে।

নতুন তিনটি কেন্দ্র চালু হলেও পাবলিক লাইব্রেরির হলেই এখনো টিকাপ্রত্যাশীদের ভিড় সবচেয়ে বেশি রয়েছে
ছবি: প্রথম আলো

শহরের সাতগাড়া মিস্ত্রিপাড়া এলাকার বাসিন্দা নুরুন্নাহার বেগম (৫০) বলেন, ‘দেই দেই করে টিকা দেওয়া দেরি হয়া গেল। বাড়ির আশপাশের সবাই টিকা দিতে আসবে বলে আমিও ছুটি আসছি টিকা দিতে। একটুকুও কষ্ট হয় নাই টিকা দিতে। আগোত কত কথা মানুষের। শুনিয়া ভয় করছিল। কিন্তু টিকা দিতে টেরই পাইলাম না।’

শহরের রামপুরা এলাকার বাসিন্দা অটোরিকশাচালক আফসার হোসেন (৫৫) জানান, কয়েক দিন শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ থাকায় তিনি দেরি করে টিকা নিচ্ছেন। তবে আজ টিকা নিতে এসে বেশিক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে হয়নি। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে টিকা পেয়েছেন।

সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, প্রথম ডোজের টিকা পর্যাপ্ত আছে। লোকজনের সুবিধার জন্য চারটি কেন্দ্র চালু করা হলো। যেসব এলাকায় নতুন টিকাকেন্দ্র করা হয়েছে, এসব এলাকায় মাইকে প্রচারণা চালানো হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররাও তাঁদের নিজ উদ্যোগে প্রচার করেছেন।