নির্মাণসামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে অনেকটা বেকায়দায় পড়েছেন ঠিকাদারেরা। উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে তাঁদের। তাই বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দের দাবি জানিয়ে রংপুরে এলজিইডি ও সিটি করপোরেশন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছেন ঠিকাদারেরা। রংপুর ঠিকাদার সমিতির ডাকে আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। চলে কয়েক ঘণ্টা।
নগরের ধাপ এলাকায় অবস্থিত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর রংপুর কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেন ঠিকাদারেরা। ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন ঠিকাদার সমিতির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, সদস্যসচিব রইস আহমেদ প্রমুখ। বিক্ষোভ শেষে নির্বাহী প্রকৌশলীর মাধ্যমে প্রধান প্রকৌশলী বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এরপর বেলা একটার দিকে সিটি করপোরেশনের প্রধান ফটকের সামনে অবরোধ করে অনুরূপ ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হয়। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন ঠিকাদার সমিতির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সমিতির সদস্যসচিব রইস আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মফিজুল ইসলাম, খায়রুল কবীর, মনজুর আহমেদ প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে জানানো হয়েছে, অস্বাভাবিকভাবে লোহা, সিমেন্ট, ইট, বিটুমিন, পাথর, টাইলস, জিআই শিট, রং, থাই গ্লাসসহ অন্যান্য নির্মাণসামগ্রীর দাম ২০ থেকে ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখনো দাম বেড়েই চলেছে। এভাবে নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় উন্নয়নমূলক চলমান কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়ে উঠছে না।
প্রতিটি নির্মাণসামগ্রীর দাম যে হারে বেড়েছে, তাতে কাজ করতে গেলে দরপত্রের চুক্তিমূল্য থেকে ৪০ শতাংশ বেশি খরচ হবে। তাই বর্তমান বাজারদর যাচাই করে দরপত্রে প্রাক্কলিত মূল্যের সঙ্গে সমতা ফেরাতে অতিরিক্ত অর্থ সংযোজন করার জন্য হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ঠিকাদারেরা। তা না হলে উন্নয়নমূলক কাজগুলো সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না বলে জানান ঠিকাদারেরা।