রংপুরে রোদ উঠলেও বইছে ঠান্ডা বাতাস

রংপুরে কয়েক দিন থেকে কুয়াশা নেই। তবে শীত বেড়েই চলেছে। শীতের রোদমাখা সকালে সাইকেলে চড়ে কাজে যাচ্ছেন কয়েকজন দিনমজুর। আজ সোমবার সকালে রংপুর নগরের রণচণ্ডী এলাকায়
ছবি: মঈনুল ইসলাম

উত্তরের বিভাগীয় নগর রংপুরের আকাশে সূর্য থাকলেও হিমেল হাওয়া বইছে। দুর্ভোগ হয়েছে খেটে খাওয়া মানুষের। আজ সোমবার ভোরের সূর্য উঁকি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটু উষ্ণতা অনুভূত হয়।

গতকাল রোববার রাতেও ঠান্ডা হাওয়া বয়ে যায় পুরো নগরে। সন্ধ্যার পর রাত পর্যন্ত নগরের রিকশাসহ অন্যান্য যানবাহনও কমে যেতে শুরু করে। অথচ এক সপ্তাহ আগেও রংপুরে এত হিমেল হাওয়া ছিল না।

নগরের বুড়িরহাট সড়কে সাধারণত সকাল আটটা থেকে বাইসাইকেলে শ্রমজীবী মানুষের দীর্ঘ সারি দেখা যেত। কিন্তু আজ অনেকটা ব্যতিক্রম। কুয়াশা তেমন একটা না থাকলেও কনকনে ঠান্ডা বাতাস বইছে। একই চিত্র দেখা গেছে নগরের নজিরের হাট সড়কেও। বিভিন্ন সড়কেই সকাল থেকে শ্রমজীবী মানুষের চলাচল কম ছিল।

নগরের চব্বিশহাজারি এলাকায় কথা হলো কয়েক শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে। বেলাল হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রি বলেন, ‘আইজ খুব ঠান্ডা বাতাস। আইজ কাজোত যাই নাই।’

আজ সকালে নগরের শাপলা চত্বর, কেরানীপাড়া চারমাথা মোড়, শিমুলবাগ ও বেতপট্টি এলাকায় শ্রম বেচাকেনার স্থানে শ্রমজীবী মানুষের উপস্থিতিও অনেক কম দেখা যায়। কাজের সন্ধানে ছুটে আসা শ্রমজীবী মানুষ জানান, শিমুলবাগ এলাকায় সাত দিনে কাজ করা মানুষের উপস্থিতি বেশ ভালো ছিল। কিন্তু আজকে সকাল থেকে ঠান্ডা বাতাসের কারণে কাজ করা মানুষ কমে গেছে।

শীতের সকালে গৃহপালিত ছাগলের সঙ্গে খুনসুটিতে মেতেছে এক শিশু। আজ সোমবার সকালে রংপুর নগরের মনোহর এলাকায়
ছবি: মঈনুল ইসলাম

দিনমজুর আফজাল হোসেন বলেন, ‘রাইত থাকি খুব ঠান্ডা। তার ওপর বাতাস ছাড়ছে। তাই হয়তো কাজ করা মানুষ বাড়ি থাকি কম বেড়াইছে। তার ওপর এই সময় শহরের বাসাবাড়িত কাজও কম।’

রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, রোদ থাকলেও এ অঞ্চলে হিমেল বাতাসের আবহ আছে। গতকাল রাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।