রংপুরে সড়কে যানবাহন বেড়েছে, বাজার-ব্যাংকে মানুষের ভিড়

রংপুরে কঠোর বিধিনিষেধের ৬ষ্ঠ দিনে সড়কে যানবাহন চলাচল বেড়েছে। নিউ ইঞ্জিনিয়ার পাড়া, রংপুর, ৬ জুলাই।ছবি: মঈনুল ইসলাম

কঠোর বিধিনিষেধের ষষ্ঠ দিনে রংপুরের সড়কে যান চলাচল আগের চেয়ে বেড়েছে। নিত্যপণ্যের বাজারেও কেনাকাটা করতে আসা মানুষের ভিড়, সেই সঙ্গে ব্যাংকেও ঠাসাঠাসি অবস্থা।

আজ মঙ্গলবার সকালের দিকে সড়কে যানবাহনের তেমন একটা চলাচল না থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কের চিত্র পাল্টে যেতে শুরু করে। মানুষের চলাচল বেড়ে যায়। বেড়ে যায় ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোরিকশাসহ ব্যক্তিগত গাড়ির চলাচল।

সড়কে যানবাহন চলছে, চলছে মানুষজন। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও সড়কে তদারকিতে ব্যস্ত থাকছেন। তাঁরাও যানবাহন আটক করছেন। গাড়ির চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন।  

নিত্যপণ্য কেনাকাটার জন্য মানুষজনকে সিটি বাজারের দিকেই বেশি যেতে দেখা যায়। আবার কাউকে শহরের ধাপ এলাকায় হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যেতে দেখা যায়। এসব মানুষ হাতে চিকিৎসকের কাগজপত্র নিয়ে ছুটছেন। কেউ হেঁটে, আবার অনেকেই রিকশায় চড়ে। চলাচলে পুলিশের জবাবদিহির মধ্যেও পড়তে হচ্ছে লোকজনকে।

এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাও চলছে। অনেককে জরিমানা গুনতে হচ্ছে। আজ দিনের প্রথম ভাগে নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

পাড়া-মহল্লার সড়কগুলোতেও রিকশাসহ হালকা যানবাহন চলছে। সেই সঙ্গে শহরের কয়েকটি প্রবেশপথ মেডিকেল মোড়, ধাপ চেকপোস্ট, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, মেডিকেল পূর্বগেট, সাতমাথা, মডার্ন মোড়, শালবন এলাকাসহ আরও কিছু স্থানে পুলিশের কড়াকড়ি অবস্থান চোখে পড়েছে।

নগরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, সাতমাথা, কাচারি বাজার, সিটি বাজারের সামনে, শালবন মোড়, জিলা স্কুল মোড়, পায়রা চত্বর, শাপলা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি মোড়, পার্ক মোড়, মডার্ন মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি ছিল। দায়িত্বরত পুলিশের সদস্যরা যানবাহন চলাচলে বাধা দিচ্ছেন এবং তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। একই সঙ্গে বাইরে বের হওয়া মানুষদের সচেতন করা হচ্ছে।

নগরের মেডিকেল মোড় এলাকায় কথা হয় একজন অটোচালক ওমর আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গাড়ি না চালাইলে খামো কী? তাই অটো নিয়া বের হইছি। এক বেলা চালেয়া যে কয়টা টাকা আয় হইবে, সেই টাকা দিয়া দিন-রাইত চলা লাগবে।’

নগরের বিভিন্ন স্থানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিষয়ে হ্যান্ডমাইকে প্রতিদিনের মতো প্রচারণা চালাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী পুলিশ কমিশনার আলতাব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ঘরের বাইরে বের হওয়া মানুষদের বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। জরুরি কাজ সেরে দ্রুত বাড়িতে চলে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। আর যাঁরা অহেতুক ঘোরাফেরার জন্য বের হচ্ছেন, তাঁদের জরিমানা করা হচ্ছে।