রংপুর জেলা ছাত্রলীগের এক বছরের কমিটি আট বছর পর বিলুপ্ত
রংপুর জেলা ছাত্রলীগের এক বছরের কমিটি আট বছর পর বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিলুপ্ত ঘোষণার দিন থেকে ১৫ দিনের মধ্যে রংপুর জেলা শাখার নতুন কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহী পদপ্রত্যাশীদের ফরম জমা নেওয়া হবে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাহিত্য সম্পাদক আসিফ তালুকদার ও সহসম্পাদক রিপন মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য বলা হয়েছে।
রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী সভাপতি মেহেদী হাসান প্রথম আলোক বলেন, ২০১৪ সালের ৮ ডিসেম্বর টাউন হলে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সেখানে কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে শুধু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নাম ঘোষণা করা হয়।
এদিকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ দুই সদস্য নিয়ে ছাত্রলীগের জেলা কমিটি দুই বছর অতিবাহিত হয়। এ সময়ের মধ্যে যাঁরা সংগঠন করেছেন, তাঁদের পদপদবি ছিল না। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের একাধিকবার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দুই বছর পর ২০১৬ সালে ১২১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। এক বছর মেয়াদের কমিটি দীর্ঘ আট বছর পার হওয়ার পর মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ দেখিয়ে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নিয়ে জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ফরম জমা দেওয়ার অনেকেই চিন্তাভাবনা করছেন। তবে এখনো এ ব্যাপারে কেউ কোনো মুখ খুলতে চাইছেন না। সবাই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সভাপতি পদপ্রার্থী বলেছেন, ‘সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি হওয়া দরকার। এতে নেতা-কর্মীদের মধ্যে একটা নতুন উদ্দীপনা দেখা দেয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমার মতো অনেকেই এই পদে ফরম নেবেন। কিন্তু শেষমেশ কী হবে, তা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।’
রফিকুল ইসলাম নামের ছাত্রলীগের এক কর্মী বলেন, রংপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ার পর লেখাপড়াও শেষ হয়েছে তাঁর। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে থাকার ইচ্ছে থাকলেও, তা আর সম্ভব হয়নি। কেননা, এক বছরের কমিটি আট বছর পর বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি করার ঘোষণা এল। এ সময়ের মধ্যে তিনিসহ অনেক শিক্ষার্থী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা শেষ করে গেছেন, কিন্তু এরই মধ্যে ছাত্রলীগের কোনো সম্মেলন দেখা যায়নি। ফলে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও কমিটিতে আর থাকা হয়নি।