রাজশাহীতে নগর উন্নয়ন প্রকল্পের ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ
রাজশাহী নগরের সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দিয়েছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। গতকাল রোববার নগর ভবনে সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলী, বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে বৈঠক শেষে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রথম দফা কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ঠিকাদার রাজশাহী নগরের ছয়টি ওয়ার্ডে কোনো কাজ শুরু করতে পারেননি। বাকি ওয়ার্ডগুলোর কাজের সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়নি। এ নিয়ে ২১ ডিসেম্বর ‘প্রথম আলো’র প্রথম পৃষ্ঠায় ‘১৮৭ কোটি টাকার কাজের অগ্রগতি নেই’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে গত শনিবার ঠিকাদারকে তলব করে সিটি করপোরেশন।
গতকাল দুপুরে নগর ভবনের সরিৎ দত্ত গুপ্ত সভাকক্ষে সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান নগরের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদার তানভীর আহম্মেদকে নির্দেশ দেন।
বৈঠকে মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান বলেন, রাজশাহী মহানগরের সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নগরে বিভিন্ন উন্নয়নকাজ চলমান। নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি ও নাগরিকদের স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল নিশ্চিত করতে ওয়ার্ড পর্যায়ের অলিগলিতে রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সব ওয়ার্ডের রাস্তা, ড্রেন নির্মাণ ও উন্নয়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি করতে হবে। আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে অন্তত ৬০ শতাংশ কাজ শেষ করার জন্য তিনি তাগাদা দিয়েছেন।
বৈঠকে সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সরিফুল ইসলাম, ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. নিযাম উল আযীম, ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আবদুল মোমিন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. তৌহিদুল হক, ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রবিউল ইসলাম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরিফ উদ্দিন, প্রধান প্রকৌশলী মো. শরিফুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুর ইসলাম, প্রকল্পের প্রকৌশল উপদেষ্টা প্রকৌশলী আশরাফুল হক, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দিন হায়দার, মো. মাহমুদুর রহমান, সুব্রত কুমার সরকার, নিলুফার ইয়াসমিন ও তানভীর কনস্ট্রাকশনের এমডি তানভীর আহম্মেদসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
নগরের ৩০টি ওয়ার্ডের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য হাতে নেওয়া হয়েছে ১৮৭ দশমিক ৫২ কোটি টাকার প্রকল্প। কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে গত ২৩ সেপ্টেম্বর। এখনো ছয়টি ওয়ার্ডে উন্নয়নের কাজ শুরু হয়নি। বাকি ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে ২০টিতে কাজ চলমান। সিটি করপোরেশনের হিসাব মতে, গড়ে কাজের অগ্রগতি মাত্র ১৬ শতাংশ। এ অবস্থায় আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এ মেয়াদেও কাজ শেষ হওয়া নিয়ে সংশয় আছে। এমন অবস্থায় দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী।