রাতে ফেরি বন্ধ, সকালে শিমুলিয়া থেকে ছাড়েনি কোনো ফেরি

মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুর কাঁঠালবাড়ি নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাটে নোঙর করা আছে ফেরিগুলো
প্রথম আলো ফাইল ছবি

নাব্যতা সংকটের কারণে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুর কাঁঠালবাড়ি নৌপথে ফেরি চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। রাতে ফেরি বন্ধ থাকছে। বৃহস্পতিবার সকালে ফেরি চলার কথা থাকলেও সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কোনো ঘাট থেকে ফেরি ছাড়েনি। ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, ওপর থেকে সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ফেরি।

এদিকে দ্বিতীয় দফায় দুই দিন ফেরি বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছোট একটি ফেরি দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা পর ১৪টি মালবাহী ট্রাক নিয়ে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে পৌঁছায়। সেদিন আর কোনো ফেরি চলেনি। বুধবার মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে একটি বড় ফেরি শিমুলিয়া ঘাটের উদ্দেশে রওনা হয়। প্রায় ৮ ঘণ্টায় ফেরিটি  শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছায়।  

বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক ফয়সাল আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, গত দুদিন দুইটি ফেরি একটি করে ট্রিপ নিয়ে যাতায়াত করেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে রাতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ফেরি চালানোর ব্যাপারে এখনো নির্দেশ পাওয়া যায়নি। নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত কোনো ঘাট থেকে ফেরি চলবে না।

শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) মো. হিলাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কোনো ঘাট থেকে ফেরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়নি। ফেরিগুলো ঘাটে নোঙর করা আছে। ঘাট পার হতে ৫০টি যানবাহন অপেক্ষায় আছে। মঙ্গলবার ফেরি চলাচল শুরু হওয়ার খবরে কিছু যানবাহন এই ঘাটে এসেছিল। ঘাটে এসে সেগুলো আবার ফিরেও যাচ্ছে।

শিমুলিয়া ঘাট ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দুই মাসের বেশি সময় ধরেই নাব্যতা সংকটের জন্য ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এমন নাব্যতা সংকট আগে কখনো দেখা যায়নি। এ বছরের মতো এমন ভোগান্তিও হয়নি। নাব্যতা সংকটের কারণে গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ ছিল। টানা আট দিন বন্ধ থাকার পর গত শুক্রবার বিকেলে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছিল। চ্যানেল সরু, চর ভাঙন, বন্যার পানির সঙ্গে ময়লা ও পলি এসে প্রচণ্ড নাব্যতা সংকট তৈরি করে। পরে রোববার রাত থেকে আবার ফেরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত দুই দিনে একটি ফেরি এক ঘাট থেকে অন্য ঘাটে যায়।