রাসায়নিক গুদাম নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ আর বাড়বে না: বিএসইসি চেয়ারম্যান

ফাইল ছবি: প্রথম আলো

গাজীপুরের টঙ্গীতে রাসায়নিক গুদাম নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান মো. শহীদুল হক ভূঁঞা। তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কার্যক্রম শেষ করতে প্রয়োজনে দুই তিন শিফটে কাজ করতে হবে।

মো. শহীদুল হক ভূঁঞা গত শনিবার টঙ্গীতে চলমান প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি এই কথা জানান। বিএসইসির পক্ষ থেকে রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিএসইসি সূত্র জানায়, টঙ্গীতে ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে রাসায়নিক গুদাম নির্মাণের কাজ শুরু করে বিএসইসি। উদ্দেশ ছিল দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি এড়াতে জনবহুল পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক কারখানা ও গুদাম এখানে সরিয়ে নেওয়া। তবে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। এর ফলে প্রকল্পের মেয়াদ দুই দফায় বাড়ানো হয়। আগামী ডিসেম্বরে প্রকল্পটির বর্ধিত মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। জানা গেছে, প্রকল্পটির কাজ এখন পর্যন্ত মাত্র ৪৫ শতাংশ শেষ হয়েছে।

মো. শহীদুল হক ভূঁঞা বলেন, যে জায়গায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, সেটা আগে বস্তি ছিল। গত বছরের ২৩ মে বস্তি সরানো হয়েছে। তারপর কাজ শুরু হয়েছে। এর মাঝে করোনার কারণে লকডাউন ও রড-সিমেন্টের বাড়তি দামের জন্য ঠিকাদার ধীর গতিতে কাজ এগিয়ে নিয়েছেন। এখন পুরোদমে কাজ চলছে। আশা করি, নভেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হবে। ডিসেম্বরে হস্তান্তর করা যাবে।

এদিন টঙ্গীতে বিএসইসির আওতাধীন এটলাস বাংলাদেশ লিমিটেড ও বাংলাদেশ ব্লেড ফ্যাক্টরি লিমিটেডের কারখানা পারিদর্শন করেন মো. শহীদুল হক ভূঁঞা। একইসঙ্গে তিনি বিএসইসি আওতায় বাস্তবায়ানাধীন ‘ডিসপোজেবল রেজর ব্লেড প্লান্ট স্থাপন এবং বিদ্যমান প্লান্ট আধুনিকায়ন’ প্রকল্পও পরিদর্শন করেন।

ব্লেড প্লান্ট স্থাপন প্রকল্পের বিষয়ে মো. শহীদুল হক ভূঁঞা বলেন, ব্লেড ফ্যাক্টরির উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি, দেশীয় শিল্পের উন্নয়ন এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার লক্ষ্যে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। এর কাজ সুষ্ঠুভাবে করার জন্য প্রকল্প এলাকার পুরাতন কারখানার মেশিনারিজ স্থানান্তর এবং অন্যান্য কাজ চলমান রয়েছে।

এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (পরিকল্পনা) আনোয়ারুল আলম, বিএসইসির পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) বদরুন নাহার, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব (পরিকল্পনা-৫) সঞ্জয় কুমার ঘোষ, ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন এম মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।