রায়গঞ্জে ইউপি নির্বাচনে মোরগ আর মাইক প্রতীকের কদর বেশি
দ্বিতীয় ধাপে আগামী ১১ নভেম্বর সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ বুধবার প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ডের সদস্যপদে প্রার্থীদের মধ্যে মোরগ আর সংরক্ষিত নারী সদস্যদের কাছে মাইকের কদর বেশি ছিল বলে জানা গেছে। পছন্দের এ দুই প্রতীক পেতে সমঝোতা না হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে লটারি করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়েছে।
উপজেলার নলকা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্যপদে পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে তিনজনের পছন্দের প্রতীক মোরগ। সমঝোতা না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত লটারি করে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। লটারিতে মোরগ প্রতীক পেয়ে প্রার্থী মো. রেজাউল করিম উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এটি তাঁর ও সমর্থকদের প্রাথমিক বিজয়। ১১ নভেম্বর ভোটের জয় পেতে মার্কা বড় ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি মনে করেন।
সোনাখাড়া ইউনিয়নের ২ নম্বর সংরক্ষিত আসনে সদস্যপদে বর্তমান সদস্যসহ পাঁচজন প্রার্থী হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে চারজনের পছন্দের প্রতীক মাইক। পরে সমঝোতায় মাইক প্রতীক পান সমিরন খাতুন। তিনি বলেন, ‘গতবার অল্প ভোটে মাইক নিয়ে হেরেছিলাম। এবারও মাইক নিয়ে ভোটারদের কাছে যেতে চাই।’
এ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে তিন প্রার্থীর পছন্দের প্রতীক মোরগ। শেষে লটারি করে মোরগ প্রতীক পেয়েছেন বিমল চন্দ্র মাহাতো। তিনি বলেন, ভোটারদের কাছে মোরগের কদর একটু বেশি। তাই তিনি এ প্রতীকই চেয়েছিলেন। এখন ভোটের দিনের জন্য অপেক্ষা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে সদস্যপদে ৩২ প্রার্থীর মধ্যে ১৮ জনই মোরগ চেয়েছিলেন। অন্যদিকে ৩টি সংরক্ষিত আসনে ১০ প্রার্থীর মধ্যে ৬ জনই মাইক চেয়েছিলেন।
সোনাখাড়া ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আমিরুল আলম বলেন, ‘প্রার্থীদের বেশির ভাগই মোরগ আর মাইকের ভক্ত। কেন সবাই এ দুটি প্রতীক চাচ্ছেন, সেটা জানি না।’
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, বেশির ভাগ প্রার্থীর পছন্দের প্রতীক মোরগ ও মাইক। যেসব ইউনিয়নে একই প্রতীকের একাধিক চাহিদা ছিল, সেখানে প্রথম সমঝোতার চেষ্টা করা হয়েছে। কোথাও কোথাও সমঝোতা হয়েছে, আবার কোথাও লটারির মাধ্যমে প্রতীক বরাদ্দ দিতে হয়েছে। তবে এ নিয়ে কোনো উত্তেজনা বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।