রায়পুরায় ধানখেত থেকে গৃহবধূর চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধার
নরসিংদীর রায়পুরার মরজালের একটি ধানখেত থেকে এক গৃহবধূর চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের চরমরজাল গ্রামের উত্তরপাড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ওই নারীর নাম রুনা বেগম (২৮)। তিনি সৌদিপ্রবাসী ছেলে আবু কালাম মিয়ার স্ত্রী ও একই গ্রামের উত্তরপাড়া এলাকার মোসলেম উদ্দিন ভূঁইয়ার মেয়ে। নিহত রুনা বেগম ও কালাম মিয়ার সংসারে তিন সন্তান রয়েছে।
নিহত রুনার স্বজনেরা বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় রুনা বাবার বাড়ি থেকে মামার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। রাত আটটার দিকে পরিবারের সদস্যরা তাঁর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে নম্বর বন্ধ পান। এরপর আজ সকালে স্থানীয় ব্যক্তিরা ওই গ্রামের একটি ধানখেতে রুনার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের লোকজনকে খবর দেন।
খবর পেয়ে রুনার পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে তাঁর লাশ শনাক্ত করেন। এ সময় তাঁর ডান চোখ উপড়ানো অবস্থায় ছিল। খবর পেয়ে রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক মো. মনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে এসে তাঁর লাশ উদ্ধার করেন। পরে নারী পুলিশের সহায়তায় সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত রুনার মামা বশির উদ্দিন বলেন, বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় রুনার সঙ্গে একটি মুঠোফোন ছিল। তবে লাশের সঙ্গে মুঠোফোনটি পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁর মুঠোফোনটি ছিনিয়ে নেওয়ার সময় বাধা দেওয়ায় হয়তো চোখ উপড়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে তাঁর প্রবাসী স্বামীর সঙ্গেও ঝামেলা চলছিল। দীর্ঘদিন ধরে রুনার স্বামী তাঁকে কোনো খরচ দিতেন না। এ বিয়ে ভাঙার জন্য এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বারদের নিয়ে বেশ কয়েকবার বৈঠকও হয়েছে। রুনার স্বামী আদালতে একটি মামলাও করেছেন। ঠিক কী কারণে রুনার সঙ্গে এমনটা ঘটল, সেটা পুলিশ তদন্ত করলেই বের হবে।
জানতে চাইলে রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ধানখেত থেকে উদ্ধার হওয়া ওই গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে লাশ পাঠানো হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।