রায়ে ক্ষুব্ধ আয়শার বাবা, সন্তুষ্ট রিফাত শরীফের বাবা

আয়শা সিদ্দিকার বাবা মোজাম্মেল হোসেন
প্রথম আলো

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তাঁর স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা ওরফে মিন্নিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার রায়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাঁর বাবা মোজাম্মেল হোসেন। তিনি দাবি করেন, তাদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। অন্যদিকে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম শরীফ।
আয়শার বাবা মোজাম্মেল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ মামলায় আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। এটাকে কোনো রায় বলে আমি মনে করি না।  আমি আশাবাদী উচ্চ আদালতে আমরা খালাস পাব।’

নিহত রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম শরীফ
প্রথম আলো

নিহত রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম শরীফ রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমি ও আমার পরিবার এই রায়ে সন্তুষ্ট। আদালত ন্যায়বিচার করেছেন।’
বেলা ১১টার দিকে মামলার ৮ আসামিকে বরগুনা জেলা কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। এর আগে সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে বাবার সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে আদালতে পৌঁছান জামিনে থাকা রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা। এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে একজন পলাতক। বাকি ৯ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দুপুর সোয়া একটার দিকে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান রায় ঘোষণার জন্য এজলাসে ওঠেন। দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে তিনি রায় পড়া শুরু করেন। ২০০ পৃষ্ঠার রায়ের সার সংক্ষেপ ঘোষণা করেন বেলা ২টার দিকে।
রায়ের সার সংক্ষেপে বিচারক রিফাত হত্যা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। বাকি চারজন খালাস পান।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাকি পাঁচ আসামি হলেন রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি (২৩), আল কাইউম ওরফে রাব্বি আঁকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম ওরফে সিফাত (১৯), রেজওয়ান আলী খান ওরফে টিকটক হৃদয় (২২) ও মো. হাসান (১৯)। আর খালাস পেয়েছেন রাফিউল ইসলাম, মো. সাগর, কামরুল ইসলাম সাইমুন ও মো. মুসা। মুসা পলাতক আছেন।

আরও পড়ুন