রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে প্রতারক চক্রের মূল হোতা গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি নিয়ে প্রতারক চক্রের মূল হোতা মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার টিম। নড়াইলের লোহাগড়ায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী প্রথম আলোকে বলেন, সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের বিশেষ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রেজাউল মাসুদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন। গত সোমবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হলেও আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

রংপুর মহানগর তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান জানান, গ্রেপ্তার মেহেদী হাসানকে রংপুরে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে।

চলতি মাসের ১ জানুয়ারি বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ করেছিলেন, পরে সেটি মামলা হিসেবে নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ‘brur চান্স ১০০% করে দিব’ গ্রুপ থেকে মেসেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়। এতে বলা হয়, ‘যারা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়নি, তাদের চান্স পাইয়ে দেব। এতে খরচ হবে ২০ হাজার টাকা। অগ্রিম পেমেন্ট করতে হবে ৮৫০ টাকা।’ প্রতারক চক্রটি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি জালিয়াতির সঙ্গেও যুক্ত। এই পদ্ধতি অবলম্বন করে চক্রটি বিভিন্ন মুঠোফোন নম্বর ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিত।

গ্রেপ্তার মেহেদীকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে সিআইডির উদ্ধৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, গ্রেপ্তার প্রতারক ২০১৭ সাল থেকে বিভিন্ন সময় এভাবে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করে আসছিলেন। প্রতারক চক্র মূলত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি–ইচ্ছুকদের সঙ্গে যোগাযোগ করত। এভাবে ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে কিছু টাকা হাতিয়ে নিত। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ফলাফলের পর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ বন্ধ করে দেওয়া হত। সঙ্গে অ্যাডমিন নম্বর ও বিকাশ নম্বরও বন্ধ করে দিত।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের সময় মেহেদীর কাছ থেকে বিকাশ অ্যাকাউন্টসহ মোট ১০টি সিম, ৩টি মুঠোফোন ও ১টি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।