টানা দুই মৌসুম ধান-চাল সংগ্রহে ব্যর্থ হলেও চলতি বোরো মৌসুমে চাল সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে দিনাজপুর খাদ্য বিভাগ। তবে ব্যর্থ হয়েছে বোরো ধান সংগ্রহ অভিযান। খাদ্য বিভাগ কর্তৃপক্ষ বলছে, ধান সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হলেও কাছাকাছি পৌঁছেছে তারা।
এবার বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয় গত ৭ মে। অভিযান শেষ হয় গত ৩১ আগস্ট। জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্র জানায়, চাল সংগ্রহ অভিযানে দেড় হাজার মিলমালিকের সঙ্গে চুক্তি করে খাদ্য বিভাগ। আতপ চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে ৭ হাজার ৭ মেট্রিক টনের বিপরীতে সংগ্রহ হয়েছে ৬ হাজার ১৫৮ মেট্রিক টন। আর সেদ্ধ চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে ৯১ হাজার ৮২ মেট্রিক টনের বিপরীতে সংগ্রহ হয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৬৮০ মেট্রিক টন, যা মোট লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ১০৪ শতাংশ।
অন্যদিকে কৃষকদের কাছে ২৪ হাজার ১৫২ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সংগ্রহ হয়েছে ২২ হাজার ১১২ মেট্রিক টন, যা লক্ষ্যমাত্রার ৯২ শতাংশ।
গত মৌসুমে ধান ক্রয়ে সরকার–নির্ধারিত মূল্য প্রতি কেজি ২৬ টাকার পরিবর্তে এবার ২৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়। চালের ক্ষেত্রে আতপ প্রতি কেজি ৩৭ টাকার স্থলে ৩৯ ও সেদ্ধ চালের ক্ষেত্রে ৩৮ টাকার স্থলে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
গত দুই মৌসুমে সরকার–নির্ধারিত ধানের দামের চেয়ে স্থানীয় বাজারে দাম বেশি থাকায় সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করেননি কৃষকেরা। জেলায় প্রয়োজনের চেয়ে অধিক চালকল থাকায় চালকলের মালিক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে ধান মজুত করার প্রতিযোগিতা তৈরি হয়। এতে কৃষক বাজারে ধান বিক্রি করে লাভবান হন। একইভাবে সরকার–নির্ধারিত দামের চেয়ে বাজারে চালের দাম বেশি থাকায় মিলমালিকেরা চুক্তি করেও খাদ্য বিভাগের কাছে চাল সরবরাহ করেননি। কিন্তু এবার ধান-চালের দাম কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা বৃদ্ধি করা হয়।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, এবার সংগ্রহ অভিযানটি মৌসুমের শুরু থেকেই করা হয়। সবার সহযোগিতা ও প্রচেষ্টায় সংগ্রহ অভিযান সফল হয়েছে।