আজ দুপুর থেকে লঞ্চঘাট ঘুরে দেখা যায়, টার্মিনালে দাঁড়িয়ে থাকা কাজল-৭, কুয়াকাটা-১, এআর খান-১, সুন্দরবন-৯, জামাল-৫—সবগুলো লঞ্চ যাত্রীতে ভরে গেছে। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লঞ্চে জায়গা পেতে সকাল থেকেই তাঁরা চাদর বিছিয়ে অবস্থান করছেন। তবে যাত্রীদের অনেকে অভিযোগ করছেন, লঞ্চগুলোর কেবিন, ডেক, বারান্দা ও ছাদ যাত্রীতে ভরে গেলেও লঞ্চগুলো ছাড়ছে না। প্রচণ্ড গরমে তারা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
দীর্ঘসময় লঞ্চে অবস্থান করছেন আমতলী এলাকার যাত্রী মো. আমিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, পুরো লঞ্চে যাত্রী বোঝাই হয়েছে। এরপরও লঞ্চ ছাড়ছে না। লঞ্চে উঠতে পারলেও জায়গা না পেয়ে তিনি দুর্ভোগে পড়েছেন।
পটুয়াখালী নদীবন্দরের উপপরিচালক এম মহিউদ্দিন খান বলেন, এ বছর যাত্রীদের চাপ একটু কম। কারণ, ঈদে লম্বা ছুটি। ধাপে ধাপে যাত্রীরা কর্মস্থলে ফিরছেন। এ ছাড়া পর্যাপ্ত লঞ্চ আছে। কাজেই লঞ্চগুলো অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করতে পারবে না। এ জন্য প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নিয়ে লঞ্চগুলো নির্ধারিত সময়ের আগেই ঘাট ত্যাগ করানোর ব্যবস্থা করা হবে।