লামায় জুমের জমিতে আগুনের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবি
বান্দরবানের লামা উপজেলায় স্থানীয় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জুমচাষের জমি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে চট্টগ্রাম নগরে সংহতি সমাবেশ ও মিছিল হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের চেরাগি পাহাড় মোড়ে যৌথভাবে এই কর্মসূচি পালন করে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন। এতে পাহাড়িদের ভূমি ফেরত দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
সংহতি সমাবেশে উপস্থিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধ গবেষক মাহফুজুর রহমান বলেন, পাহাড়ের মানুষের ওপর যে অত্যাচার ও নিপীড়ন হচ্ছে তার বিরুদ্ধে সমতল ও পাহাড়ের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভূমি রক্ষার লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে।
জনস্বাস্থ্য অধিকার রক্ষা পরিষদের সদস্যসচিব চিকিৎসক সুশান্ত বড়ুয়া বলেন, প্রশাসন এখন নানা কথা বলছে। অথচ তাদের কাছ থেকে জমি ইজারা নিয়ে লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানি ম্রো ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ভূমি দখল করেছে। যারা জুম পুড়িয়ে দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয় তা দেখার বিষয়।
সংহতি সমাবেশে বক্তারা আগুনের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান। এ ছাড়া ইতিমধ্যে বেদখল হয়ে যাওয়া ভূমি ফেরত দিয়ে রবার বাগানের জন্য দেওয়া জমির ইজারা বাতিল করতেও বলেন বক্তারা।
গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নগর শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শুভ চাকের সভাপতিত্বে এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নগর শাখার আহ্বায়ক অমিত চাকমার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদাউস, সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রীয় নেতা অপু দাশগুপ্ত, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুনীল ত্রিপুরা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সোহেল চাকমা।