লালখান বাজার শহীদনগর হচ্ছে শিগগিরই: চসিক মেয়র

মো. রেজাউল করিম চৌধুরী
ফাইল ছবি

নগরের লালখান বাজারের নাম শহীদনগর করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। লালখান বাজারের ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাসনাত বেলাল লালখান বাজারের নাম শহীদনগর রাখার প্রস্তাব করলে মেয়র এ কথা বলেন।

মঙ্গলবার চসিকের সাধারণ সভায় বিষয়টি নামকরণসংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভায় উত্থাপনের জন্য নির্দেশ দেন মেয়র। আন্দরকিল্লার পুরোনো নগর ভবনে কে বি আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় ১৬ ডিসেম্বর প্রথম আলোতে প্রকাশিত ‘লালখান বাজার কেন শহীদনগর হলো না’ শীর্ষক প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরেন রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম শহরে একাত্তরে সবচেয়ে বেশি হত্যাযজ্ঞ চলে এই লালখান বাজারে। সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী এটাকে শহীদনগর করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন, কিন্তু এর বাস্তবায়ন হয়ে ওঠেনি। এ জন্য শহীদনগর করার উদ্যোগ আবার নেওয়া দরকার।

সভায় নগরের দখল হয়ে যাওয়া ২১টি খাল পুনরুদ্ধার করা হবে বলে ঘোষণা দেন মেয়র। তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের আওতায় নগরের ৩৫টি খাল খনন ও সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। কিন্তু নগরের ২১টি খাল বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায়। সিএস খতিয়ান অনুযায়ী সেগুলো পুনরুদ্ধার করা হবে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলররা খালগুলো চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, মশকনিধন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও আলোকায়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। মশকনিধনে আলাদা ফোর্স গঠন করা হবে।
সভায় উপস্থিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন অভিযোগ করেন, ওয়ার্ড কার্যালয়ে সরবরাহ করা আসবাব নিম্নমানের। অভিযোগ শুনে মেয়র তা তদন্তের জন্য সচিবকে নির্দেশ দেন।

নগরের যানজট নিরসনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে ফুটপাত ও সড়ক দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়ার ওপর জোর দেন মেয়র। তিনি বলেন, দখলমুক্ত হওয়ার পর ফুটপাত ও সড়ক বেদখল হলে এ বিষয়ে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম সাধারণ সভা সঞ্চালনা করেন। এ সময় বক্তব্য দেন প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর, মো. গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।