লালমনিরহাটে মাঠ না পেয়ে সড়কের ওপর বিএনপির সমাবেশ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে লালমনিরহাটে সমাবেশ করেছে দলের নেতা–কর্মীরা। আজ মঙ্গলবার শহরের কোনো মাঠে সমাবেশের অনুমতি না পেয়ে প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে মঞ্চ তৈরি করে তাঁরা সমাবেশ করেন।
সমাবেশে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শহরের নর্থ বেঙ্গল মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের ওপর বসে পড়েন বিএনপির কয়েক হাজার নেতা–কর্মী। এ জন্য বেলা তিনটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এ সড়ক দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় বিকল্প সড়ক হিসেবে বাইপাস দিয়ে যানবাহন চলাচল করে।
সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল কায়েম করেছিলেন আর জিয়াউর রহমান দিয়েছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্র। বিএনপির গঠনতন্ত্রে রয়েছে রাষ্ট্রপতিশাসিত শাসনব্যবস্থা। খালেদা জিয়া দেশের মানুষের মনের ভাষা পড়তে পারেন, তাই সংসদীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। কেয়ারটেকার পদ্ধতির জন্য আন্দোলন–সংগ্রাম করেছিল আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য বিরোধী দলীয় লোকজন। তিনি মানুষের মনের কথা বুঝতে পেরে সেই পদ্ধতি মেনে নেন এবং বিরোধী দলীয় নেতার আসনে বসেন। তিনি তো ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে বসে থাকতে চাননি।’
ইকবাল হাসান মাহমুদ আরও বলেন, ‘নব্বইয়ের সেই স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া। সেই নেত্রীকে মেরে ফেলার জন্য পয়জনিং করা হয়েছে। তিনি এটা বুঝতে পেরেও আপস করতে রাজি হননি। সেই আপসহীন নেত্রীকে মুক্ত করতে রাজপথে আমাদের কঠোর আন্দোলন করতে হবে।’
লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এই কর্মসূচি পালন করার জন্য শহরের যেকোনো একটি মাঠ ব্যবহারের সুযোগ চেয়েছিলাম। গত সোমবার রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে রাজপথে সমাবেশ করতে বলা হলো। আমরা বাধ্য হয়ে লালমনিরহাট প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে মঞ্চ তৈরি করে সমাবেশ করলাম। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে করা এ সমাবেশে বাধা উপেক্ষা করে মানুষের ঢল নেমেছে। সমাবেশ পরিণত হয়েছে জনসমাবেশে। আমাদের শহরের কোনো মাঠ ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হলে যান চলাচলে যে সমস্যা হয়েছে, সেটা হতো না। এ জন্য আমরা দায়ী নই।’
বিএনপির সমাবেশের কারণে শহরের প্রধান প্রধান প্রবেশপথে ছিল পুলিশের কঠোর অবস্থান। অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে কর্মসূচিতে অংশ নিতে পথে পথে নেতা-কর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।