শরীয়তপুরে স্কুলশিক্ষার্থীকে হত্যার দায়ে ২ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড

শরীয়তপুরে এক স্কুলছাত্রকে হত্যার দায়ে দুই ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের পর আসামিদের কারাগারে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ
ছবি: সংগৃহীত

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার এক স্কুলশিক্ষার্থীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ না পেয়ে হত্যার দায়ে শাকিব ওরফে বাবু ও ইমরান মোড়ল নামের দুই ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুস সালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার অন্য চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

২০২০ সালের ২৫ জুন উপজেলার পূর্ব নাওডোবা হাজি কালাই মোড়লকান্দি এলাকার সালাম মাতবরের ছেলে মো. শাকিল মাতবরকে (১৫) অপহরণ করা হয়। দুই দিন পর মাটিচাপা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে স্থানীয় অ্যাম্বিশন কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফিরোজ আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থী শাকিল মাতবরকে অপহরণ ও হত্যা মামলায় শাকিব ও ইমরান মোড়ল নামের দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। মামলার সাত আসামির মধ্যে চারজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আসামি বাবু ফরাজীর আইনজীবী উচ্চ আদালতে আপিল করলে তাঁর মামলার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। স্থগিতাদেশ শেষ হলে তাঁর বিরুদ্ধে এ মামলার রায় হবে।
ফিরোজ আহমেদ আরও বলেন, তাঁরা মামলার রায়ে আংশিকভাবে সন্তুষ্ট। মামলায় যাঁরা খালাস পেয়েছেন, তাঁদের বিষয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। হত্যাকাণ্ডে সব আসামির সম্পৃক্ততা আছে বলে জানান তিনি।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৫ জুন বিকেলে উপজেলার হাজি কালাই মোড়লকান্দি গ্রামের শাকিল মাতবরকে খেলার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান অভিযুক্ত শাকিব মাতবর ওরফে বাবু (২০)। পরে শাকিব, আক্তার মাতবর (২৬), সজিব মাঝি (২২), ইমরান মোড়ল (২০), মহসিন হাওলাদার (২৫) ও স্বপন সরদার (৪৫) তাকে অপহরণ করে উপজেলার মোসলেম ঢালীর কান্দি গ্রামের একটি বাড়ির পাশে আটকে রাখেন। একপর্যায়ে শাকিলের চাচা শাহাজুল ইসলাম মাতবরের কাছে মুঠোফোনে ও খুদে বার্তা দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। অন্যদিকে শাকিলকে তার পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। মুক্তিপণ না দেওয়ায় শাকিলকে হত্যা করা হয়। পদ্মা সেতু-সংলগ্ন ওই গ্রামের বালুর মাঠে মাটিচাপা দিয়ে লাশ গুম করে রাখা হয়।

ইমরান মোড়লকে আটক করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁর তথ্যমতে, একই বছরের ২৭ জুন শাকিলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরের দিন জাজিরা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন ওই ছাত্রের বাবা সালাম মাতবর।