শরীয়তপুর জেলা ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আজ শুক্রবার কমিটি বিলুপ্ত করার কথা জানান। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

আজিজুল হক প্রথম আলোকে বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন ও গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন গতিশীল করতে বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি নতুন করে সাজানো হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার এক জরুরি সভায় শরীয়তপুরের কমিটি বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কমিটি বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে।

শরীয়তপুর জেলা ছাত্রদল সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে শরীয়তপুর জেলা ছাত্রদলের পাঁচ সদস্যের কমিটি করে দেওয়া হয়। ওই কমিটিতে সভাপতি ছিলেন রাশেদ খান, সহসভাপতি মামুন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক এইচএম জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সস্পাদক জাহিদ হাসান ও সাংগঠনিক সম্পাদক রিংকু তালুকদার। ওই পাঁচ নেতাকে ৯০ দিনের মধ্যে থানা, পৌরসভা ও কলেজ শাখার ১৯টি ইউনিটের কমিটি ও পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি গঠন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু ওই পাঁচ নেতা গত চার বছরে ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি করতে পারেননি। আর ১৯টি ইউনিট কমিটির মধ্যে ৭টি কমিটি করে কেন্দ্রীয় কমিটিতে জমা দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে দুর্বল সাংগঠনিক অবস্থার কারণে ওই কমিটি গতকাল বৃহস্পতিবার বিলুপ্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। শুক্রবার কমিটি বিলুপ্ত করার বিজ্ঞপ্তি জেলার নেতাদের হাতে পৌঁছায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা ছাত্রদলের এক সাবেক নেতা প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা কয়েক দফায় শরীয়তপুর জেলায় সাংগঠনিক সফর করার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। কিন্তু জেলায় ছাত্রদলের নেতৃত্বে দুর্বলতা থাকায় তা হয়নি। জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি, বিভিন্ন ইউনিটের কমিটিও করতে না পারার ব্যর্থতা রয়েছে। এ ছাড়া আমাদের নেত্রীর কারামুক্তির আন্দোলনসহ সরকারবিরোধী নানা কর্মসূচিতেও ছাত্রদল কঠোর ভূমিকা রাখতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে বিষয়টি আমাদের সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমনাকে জানানো হলে তিনি কমিটি বিলুপ্ত করার নির্দেশ দেন।

রাশেদ খান বলেন, ‘করোনার কারণে দুই বছর মাঠপর্যায়ে কাজ করতে পারিনি। বাকি সময়টাতে ৭টি ইউনিটের কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্যগুলো গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছিলাম। এ সময়ই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। যেহেতু জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল করি, তাই দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। পরে কেন্দ্রীয় নেতারা যে সিদ্ধান্ত দেবেন, তা মেনে নেব।’