শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার শোভাযাত্রায় উচ্চ শব্দে গান-নাচ
ট্রাক্টরের পেছনের অংশে সাউন্ড বক্সে উচ্চ শব্দে বাজছে গান। সেই গানের সঙ্গে নাচছেন কয়েকজন যুবক। ট্রাক্টরের সামনে-পেছনে অর্ধশত মোটরসাইকেলে করে হর্ন বাজিয়ে ছুটছেন শতাধিক নেতা-কর্মী। ‘খেলা হবে, খেলা হবে’ স্লোগানে মুখর সড়ক।
মঙ্গলবার রাত পৌনে আটটার দিকে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা সদরের বাউফল প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
ওই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন বাউফল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য মো. হারুন অর রশিদ খান। নাচানাচির দৃশ্য তিনি তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আইডি থেকে লাইভও করেছেন। বুদ্ধিজীবী দিবসে এমন শোভাযাত্রা দেখে সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বাউফল শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে শোভাযাত্রাটি জনতা ভবনে (উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের কার্যালয়) গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে থাকা ট্রাক্টরে একটি ব্যানার ঝোলানো ছিল। সেখানে বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদদের ‘বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি’ লেখা ছিল।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মো. জসীম উদ্দিন ফরাজি বলেন, কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ বুদ্ধিজীবী দিবসে হিন্দি গান বাজিয়ে নাচতে পারে না। এসব মানুষের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা হারুন অর রশিদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিজয়ের মাস। তাই মিছিল করেছি।’ বুদ্ধিজীবী দিবসে আনন্দ মিছিল করা যায় কি না, এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি ফোন কেটে দেন।