শিক্ষকের পিটুনি খেয়ে শিক্ষার্থী হাসপাতালে
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় শিক্ষকের হাতে মার খেয়ে মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) এক শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চারঘাট থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মোজাম্মেল হক। তিনি পশ্চিম ঝিকরা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে প্রহার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত শিক্ষার্থীর মা জানান, তিনি নিজে শারীরিকভাবে অসুস্থ। এ জন্য তাঁকে বাড়ির কাজে সহযোগিতা করতে তাঁর মেয়ে কয়েক দিন বিদ্যালয়ে যেতে পারেনি। প্রধান শিক্ষককে জানিয়ে মেয়ে ছুটিও নিয়েছিল। কিন্তু সোমবার সকালে বিদ্যালয়ে গেলে শ্রেণিশিক্ষক মোজাম্মেল হক অনুপস্থিত থাকার কারণে ওই ছাত্রীকে লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মেরেছেন। মার খেয়ে ওই ছাত্রী অসুস্থ বোধ করলেও বাড়িতে আসতে দেননি ওই শিক্ষক।
ওই ছাত্রীর মা আরও জানান, বিদ্যালয় ছুটির পর বাড়িতে এসে তাঁর মেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে। পরে তিনি স্থানীয় পল্লিচিকিৎসকের কাছ থেকে মেয়ের জন্য ওষুধ নেন। ওষুধ খাওয়ানোর পরও বেশি অসুস্থ বোধ করলে মঙ্গলবার সকালে তাকে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এ ঘটনায় তিনি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন বলেও জানান।
অভিযুক্ত শিক্ষক মোজাম্মেল হক প্রথম আলোকে বলেন, বাড়ির কাজ না আনায় তিনি ১০ জন শিক্ষার্থীর হাতে একটি করে বেতের বাড়ি দিয়েছেন। শরীরের অন্য কোনো জায়গায় বাড়ি দেননি। তিনি বলেন, ওই শিক্ষার্থী পড়াশোনায় ভালো। কিন্তু বাড়ির কাজ করেনি। ভালো শিক্ষার্থীদের দিয়ে ভালো ফলাফল করাতে একটু শাসন করেন তিনি।
চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আতিকুল হক জানান, মঙ্গলবার বিকেলে মেয়েটিকে তিনি দেখেছেন। সে ভালো আছে। তার হাতে একটি আঘাতের চিহ্ন পেয়েছেন তিনি।