শিবচরে মৎসজীবীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা
মাদারীপুরের শিবচরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হত্যাচেষ্টা মামলার খালাস পাওয়া আসামিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে নিহতের ভাই পান্নু চোকদার বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় সেলিম শেখ, মেহেদী মাতুব্বর, নজরুল শেখসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫ থেকে ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শিবচর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নলগোড়া এলাকায় দাদন চোকদারকে (৪৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি একই এলাকার মৃত আদম চোকদারের ছেলে এবং পেশায় একজন মৎসজীবী।
নিহত দাদনের পরিবার ও স্থানীয় লোকজন জানান, গত বছর দাদন চোকদারের সঙ্গে একই এলাকার সেলিম শেখের জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মারামারি হয়। পরে এ ঘটনায় মাদারীপুর আদালতে একটি মামলা হয়। সম্প্রতি দাদন চোকদারের পক্ষে মামলায় রায় দেন আদালত। কিন্তু সেলিম শেখ আদালতের রায় মেনে না নিয়ে দাদন চোকদারকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে গতকাল দুপুরে দাদন চোকদার শিবচর বাজার থেকে একটি ভ্যানে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে সেলিম শেখের বাড়ির সামনে এসে পৌঁছালে অভিযুক্ত সেলিম শেখ, মেহেদী মাতুব্বর, নজরুল শেখসহ বেশ কয়েকজন দাদনের গতি রোধ করে তাঁকে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন।
একপর্যায়ে দাদন চিৎকার শুরু করলে তাঁকে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যান হামলাকারীরা। পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা দাদনকে উদ্ধার করে প্রথমে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। দাদনের অবস্থা গুরতর হওয়ায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান দাদন চোকদার।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, নিহত দাদনের ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা ঘটনার পর থেকেই পলাতক। তাঁরা কেউ এলাকা নেই, সবাই গা ঢাকা দিয়েছেন। আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। আসামিরা যেখানেই থাকুন, তাঁদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।