শিশুটির আবদার ছিল জাতীয় পতাকার
পাঁচ বছরের শিশু অনুরাগ অধিকারী জাতীয় পতাকা দেখে আবদার করে বসল, মাকে সে বলল, ‘আমি পতাকা নেব।’ তার মা তাকে সামলানোর চেষ্টা করছেন। শিশুটির আবদার শুনে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম শাহিন তার হাতে একটি জাতীয় পতাকা তুলে দেন। এ সময় ইউএনও শহরে দোকানিদের মধ্যে জাতীয় পতাকা বিতরণ করছিলেন। শিশুটির আবদার শোনা মাত্রই তিনি পতাকা তুলে দেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বিজয় দিবস উপলক্ষে সব দোকানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাতীয় পতাকা বিতরণ করা হয়। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে এসব পতাকা বিতরণ করা হয়। শহরের পায়রা চত্বর, স্টেডিয়াম পাড়া, হাটের রাস্তা এইচএস সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে দোকানিদের হাতে বিনা মূল্যে এসব পতাকা তুলে দেওয়া হয়। প্রথম দিন ২০০ পতাকা দেওয়া হয় দোকানিদের। বুধবার আরও ২০০ পতাকা বিতরণ করা হবে বলে জানানো হয়। পতাকা বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সেলিম রেজা, ইউএনও এস এম শাহিন, তথ্য কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।
সেলিম রেজা বলেন, শহরের সব দোকানে ঘুরে ঘুরে কথা বলে যাঁদের পতাকা নেই তাঁদের পতাকা দেওয়া হয়েছে। বিজয় দিবসের দিনে সব দোকান ও প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন নিশ্চিত করতেই তাঁরা এই উদ্যোগ নেন।
এস এম শাহিন বলেন, ‘অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই পতাকা। পতাকার সম্মান জানাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধারণের মধ্যে পতাকা বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পতাকা বিতরণের সময় একটি শিশুর আবদার তাঁকে মুগ্ধ করেছে, যে কারণে তার হাতেও পতাকা তুলে দেওয়া হয়েছে।’