শিশুর কান্না শুনে এগিয়ে গিয়ে স্থানীয়রা পেলেন নারীর লাশ
বরিশালের আগৈলঝাড়ার বাকাল বাইপাস সড়কের সেতুর পাশে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শিশুর কান্না শুনে এগিয়ে গিয়ে এক নারীর লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশকে খবর দিলে রাতেই নারীর লাশ ও শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। ওই নারীর নাম রাশিদা বেগম (৩৫)। এ ঘটনায় নারীর বড় ভাই আল আমিন বাদী হয়ে আজ বৃহস্পতিবার আগৈলঝাড়া থানায় হত্যা মামলা করেন। হত্যায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ ওই নারীর স্বামী তামিম শেখকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁর বোন রাশিদার সঙ্গে ১৭ বছর আগে মোকাদ্দেস হোসেন নামের এক যুবকের প্রথম বিয়ে হয়। ওই সংসারে তাঁর দুটি ছেলে আছে। পাঁচ বছর আগে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। ২০১৮ সালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বেতগ্রামের তামিম শেখের (৪২) সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। এই সংসারে তনিম নামের ১০ মাসের একটি ছেলেশিশু আছে। প্রথম স্ত্রী থাকাবস্থায় তামিম রাশেদাকে বিয়ে করেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। গতকাল দুপুরে তামিম রাশিদাকে মুঠোফোনে কল করে গোপালগঞ্জ যেতে বলেন। পরে রাতে রাশেদার লাশ পাওয়া যায়।
রাশিদার মা জহুরা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘তামিম আমার মেয়ে রাশিদাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে রাতে লাশ রাস্তার পাশে ফেলে গেছে।’
আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাজাহারুল ইসলাম বলেন, রাশিদাকে হত্যার ঘটনায় তাঁর স্বামী তামিম শেখকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি রাশিদাকে গোপালগঞ্জে ডেকে নিয়ে হত্যার পর গতকাল রাতে আগৈলঝাড়ায় লাশ ফেলে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। রাশিদার ভাইয়ের করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁকে বরিশালের আদালতে হাজির করা হবে।