‘নেগেটিভ’ হওয়ার তিন দিন পর ‘পজিটিভ’

ফিরোজ আল মামুন
সংগৃহীত ছবি

শেরপুরের সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফিরোজ আল মামুন সস্ত্রীক করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) সংক্রমিত হয়েছেন। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তির পর নমুনা পরীক্ষায় তিনি করোনা ‘পজিটিভ’ হন। বিভিন্ন উপসর্গ থাকায় প্রথমে বুধবার নমুনা জমা দিলেও ময়মনসিংহে পরীক্ষায় তিনি করোনা ‘নেগেটিভ’ হয়েছিলেন।  

ইউএনও ফিরোজের করোনায় সংক্রমিত হওয়ার বিষয়টি শনিবার সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেছেন শেরপুর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক এ টি এম জিয়াউল ইসলাম ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারুক আল মাসুদ।

ফারুক আল মাসুদ প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক দিন ধরে ফিরোজ আল মামুন জ্বর, সর্দিকাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। বুধবার জেলা সদর হাসপাতালে নমুনা দেন। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষায় করোনা ‘নেগেটিভ’ আসে। কিন্তু শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় শুক্রবার রাতে ইউএনওকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার সেখানকার পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষায় তিনি করোনায় সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হন। তাঁর স্ত্রী তৌফিকুন নাহারও করোনা ‘পজিটিভ’ হয়েছেন।

ইউএনওর সঙ্গে তাঁর স্ত্রীও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তৌফিকুন নাহার শেরপুর কৃষি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষক। বর্তমানে ইউএনও ফিরোজের শ্বাসকষ্টের সঙ্গে কিছুটা গলাব্যথা রয়েছে। তবে তাঁর স্ত্রী সুস্থ রয়েছেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক জিয়াউল ইসলাম বলেন, জেলায় কোভিড সংক্রমণের শুরু থেকেই ইউএনও ফিরোজ আল মামুন জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছিলেন। বিশেষ করে কোভিডে আক্রান্ত ব্যক্তি ও পরিবারকে মানবিক সহায়তা প্রদান, লকডাউনকালে দুস্থ-অসহায়দের মধ্যে ত্রাণ বিতরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। এসব করতে গিয়েই তিনি করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।