শেরপুর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ফারুক, সম্পাদক সুলতান

সভাপতি গোলাম ফারুক (বাঁয়ে) ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ
ছবি: প্রথম আলো

দীর্ঘ ৯ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছে আওয়ামী লীগের বগুড়ার শেরপুর উপজেলা শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। আজ সোমবার পৌর শহরের টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরি মহিলা অনার্স কলেজ চত্বরে বেলা ১১টা থেকে সম্মেলন শুরু হয়। এ সময় কলেজের শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ ছিল।

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েছেন গোলাম ফারুক। চারজন প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেও তাঁরা গোলাম ফারুককে সমর্থন দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে যান। এর আগে গোলাম ফারুক বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।

বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন শুরু হয়। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল ইসলাম পোদ্দার। ভোটের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সুলতান মাহমুদ।

দলীয় মোট কাউন্সিলর ছিলেন ৪২৩ জন। ৩৯৫ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণা করেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান।

এর আগে সকালে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান। সভাপতিত্ব করেন শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তার।

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে, তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিতর্ক করা। ‘জয় বাংলা’ স্লোগান যারা দেয় না, তারা বাংলাদেশকে স্বীকার করতে চায় না।

প্রধান বক্তা হিসেবে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য সৈয়দ আবদুল আউয়াল, স্থানীয় সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবর রহমান।