শ্যামনগরে এক হৃৎপিণ্ড নিয়ে জন্ম নেওয়া সেই যমজ নবজাতকের মৃত্যু
জন্মের এক সপ্তাহ পর সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় একটি হৃৎপিন্ড নিয়ে জন্ম নেওয়া যমজ কন্যা নবজাতকেরা মারা গেছে। গতকাল শুক্রবার রাত আটটার দিকে উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামের বাড়িতে নবজাতক দুটির মৃত্যু হয়।
১৪ মে বিকেলে শ্যামনগরের একটি ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নবজাতক দুটির জন্ম হয়। সেদিন হাসপাতালটির চিকিৎসক ফাতেমা ইদ্রিস ইভা প্রথম আলোকে জানান, জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক আনিসুর রহমান ও তিনি মিলে তোহরা খাতুন নামের এক নারীর অস্ত্রোপচার করেন। এ সময় তোহরা যমজ কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। তবে সন্তান দুটির বুক ও পেট একসঙ্গে জোড়া লাগানো ছিল। তাদের একটি হৃৎপিন্ড কিন্তু হাত চারটি, পা চারটি ও মাথা দুটি। চিকিৎসকদের ভাষায় এটিকে ‘কনজয়েন্ট টুইন’ বলে।
বেসরকারি ওই ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক সোলায়মান আজ শনিবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দুপুরের দিকে সুস্থ অবস্থায় নবজাতক দুটিকে বাড়িতে নিয়ে যায় তাদের পরিবার। তবে তাদের মাঝেমধ্যে অক্সিজেনের সংকট হচ্ছিল। এ ছাড়া জন্ম থেকে তাদের ফুসফুস ছোট ছিল। রাত আটটার দিকে নবজাতক দুটি মারা গেছে বলে তিনি শুনেছেন।
ভুরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাফরুল আলম নবজাতক দুটির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হাতপাতালে নবজাতক দুটি ভালো ছিল। কিন্তু বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পর হঠাৎ তারা অসুস্থ হয়ে মারা যায়।