এক বছর আগে অতিবর্ষণে রংপুরের কাউনিয়ার মৌলভীবাজার এলাকায় মানাস নদে একটি সেতুর দুই দিকের সংযোগ সড়ক ভেঙে যায়। এত দিনেও সংযোগ সড়ক নির্মাণ হয়নি। উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় থেকে বলা হয়েছিল শিগগিরই সংযোগ সড়ক নির্মাণ হবে। কিন্তু প্রায় এক বছরেও সংযোগ সড়ক না হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে ছয় গ্রামের হাজারো মানুষ।
বর্তমানে স্থানীয়রা সেতুর সঙ্গে দুই দিকে বাঁশ ও সিমেন্টের খুঁটি ও কাঠের পাটাতন দিয়ে সাঁকো তৈরি করেছে। এর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে স্থানীয়রা। সেতুটি উপজেলার তপিকল হাট-আরাজি হরিশ্বর সড়কে।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মৌলভীবাজার এলাকায় মানাস নদের ওপর এই সেতুটি ২০১৪ সালে ৩৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর ভারী বর্ষণে ও মানাস নদের পানির তোড়ে সেতুর দুই দিকের সংযোগ সড়ক ভেঙে যায়।
সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ার পর স্থানীয়রা সেতুর সঙ্গে লাগোয়া দুই দিকে বাঁশ ও সিমেন্টের খুঁটি ও কাঠের পাটাতন দিয়ে সেতুর পূর্ব প্রান্তে প্রায় ৫০ ফুট ও পশ্চিম প্রান্তে ৩০ ফুট দৈর্ঘ্য সাঁকো তৈরি করেন। সম্প্রতি সরেজমিন দেখা যায়, সাঁকো দিয়ে লোকজন হাঁটাচলা করলে তা দুলতে থাকে। সাঁকোর দুই পাশে রেলিং নেই। দুই চাকার যানবাহন ও পায়ে হেঁটে কোনোরকমে সাঁকো দিয়ে মূল সেতুতে উঠতে হয়। অটোরিকশা, ভ্যান চলাচল করতে পারে না।
মৌলভীবাজার এলাকার কয়েকজন বলেন, হাটের দিনে মালামাল নিয়ে চলাচলে খুব কষ্ট হয়। কেননা এ সড়কে রিকশা, ভ্যান, অটোরিকশা চলাচল করা যায় না। আর এসব যানবাহন চলাচল করতে না পারায় হাতে করে পণ্য নিয়ে নদী পার হতে হয়। আরাজি হরিশ্বর গ্রামের একজন রুহুল আমিন বলেন, গ্রামের লোকজন বিপদে পড়লে যানবাহন কিংবা অ্যাম্বুলেন্স যেতে পারে না। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আনছার আলী প্রথম আলোকে বলেন, সংযোগ সড়ক নির্মাণের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনে গত এক বছরে অনেকবার জানানো হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিগগির উদ্যোগ নেওয়া হবে এমন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
যোগাযোগ করা হলে কাউনিয়া উপজেলা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন, চলতি বছরের শীত মৌসুমে সেতুটিতে সংযোগ সড়ক হওয়ার কথা রয়েছে।