সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলার বিচার দাবিতে রাবিতে মানববন্ধন
দেশের বিভিন্ন স্থানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর, মন্দির, পূজামণ্ডপে হামলা ও নিহতের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে সনাতনী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে তাঁরা এসব ঘটনার বিচারের দাবি জানান।
মানববন্ধনে অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অমিত কুমার দত্ত বলেন, ‘সামান্য কোনো ঘটনা নিয়ে আমাদের ওপর নানাভাবে অত্যাচার করা হয়। প্রতিবছর কয়েক শ মন্দির ভাঙা হয়। কিন্তু আমরা সেসবের কোনো প্রতিকার পাই না। প্রতিকার ও বিচার না হওয়ার মানে হলো, নতুনভাবে হামলাকে উসকে দেওয়া। কুমিল্লায় কোরআন শরিফ অবমাননার কোনো বিচার না হয়ে সারা দেশে আমাদের ওপর হামলা চলছে।’
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী কঙ্গনা সরকার বলেন, গত রাতে রংপুরে ৩৫টি বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। মানুষ পুড়িয়ে মারা কোনো ধর্ম হতে পারে? এটা কোনো ধর্মেরই উদ্দেশ্য নয়। যারা ধর্মের নামে এই ধরনের কাজ করছে, অন্য ধর্মকে সম্মান করছে না, তারা আসলে নিজের ধর্মকেই মনের মধ্যে লালন করতে পারেনি।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিমন সাহা বলেন, এই দেশে বঙ্গবন্ধু ধর্মনিরপেক্ষতার চারা রোপণ করেছিলেন। সেটা এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না। প্রত্যেক নাগরিকের একটা মৌলিক অধিকার রয়েছে, সেটা হলো নিরাপত্তা। সেই নিরাপত্তার জায়গাটি হারিয়ে গেছে।
দর্শন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মানিক রায়ের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক কমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী হৃদয় ঘোষ, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের সাবেক সভাপতি চন্দন দে, পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জয় চন্দ্র রায় প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মানববন্ধন শেষে তারা ক্যাম্পাসে মৌন মিছিল বের করেন। কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। এদিকে একই সময়ে একই ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে মিছিল এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধন করেছে।