মিথিলার বাবা শ্যামল দাস কাঁদতে কাঁদতে প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক দিন আগে মিথিলা মামারবাড়ি যাওয়ার বায়না ধরেছিল। তার মামারবাড়ি সীতাকুণ্ডের কুমিরা ইউনিয়নের সুলতানা মন্দির এলাকায়। মেয়ের ইচ্ছা অনুযায়ী আজ সকালে পরিবারের চার সদস্যকে জাহাজে তুলে দিতে আসেন তিনি। টিকিট কাউন্টারে সামনে থেকে অন্য যাত্রীদের মতো তাঁরাও জেটিতে পায়ে হেঁটে জাহাজের দিকে যাচ্ছিলেন। এমন সময় বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা একটি মোটরসাইকেল মিথিলাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মিথিলা মারা যায়। আর আগেও নিজের আরেকটি মেয়ে মারা গিয়েছিল বলে জানান শ্যামল দাস।
সন্দ্বীপের ঘাট নিরাপদ করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন খাদেমুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গুপ্তছড়া ঘাটের জেটিতে মোটরসাইকেল চালানো নিষেধ। সব যাত্রীকেই পায়ে হেঁটে যেতে হয়। অথচ ঘাটের কিছু অসাধু লোক মোটরসাইকেলচালকদের অবৈধ সুবিধা দিয়ে জেটিতে মোটরসাইকেল চালানোর সুযোগ করে দেন। ‘ভিআইপি যাত্রী’ পরিবহনের কথা বলে এই মোটরসাইকেলগুলোতে টাকার বিনিময়ে যাত্রী নেওয়া হয়। শিশু মিথিলা এই অবৈধ সুবিধার বলি হয়েছে।
সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বশির আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, নিহত শিশুর লাশ সন্দ্বীপের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রাখা হয়েছে। নিহত শিশুর পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করা পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুর্ঘটনায় ঘাতক মোটরসাইকেল ও চালক পুলিশের হেফাজতে।