সন্দ্বীপের সেই নবজাতকের ঠিকানা হলো চাকরিজীবী মা-বাবার কাছে
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় শিমখেত থেকে উদ্ধার করা সেই কন্যাশিশুটির ঠিকানা হয়েছে এক চাকরিজীবী দম্পতির কাছে। শিশুটির ভবিষ্যৎ সামাজিকভাবে নিরাপদে বেড়ে উঠার লক্ষ্যে কঠোর গোপনীয়তায় নতুন মা-বাবার কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সম্রাট খীসা।
সম্রাট খীসা প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটিকে পেতে শতাধিক মৌখিক আবেদন ছিল। তাঁদের মধ্যে মাত্র তিন দম্পতি নিয়ম মেনে লিখিতভাবে আবেদন করেন। এরপর শিশুটি লালনপালনে তাঁরা সক্ষম কি না, যাচাই করতে একটি সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। আবেদনকারীদের মৌখিক সাক্ষাৎকার যাচাই-বাছাই করে সরকারের শিশুকল্যাণ বোর্ড। তার ভবিষ্যৎ যেখানে ভালো হবে বলে বোর্ড মনে করেছে, সেই নিঃসন্তান দম্পতির কাছে শিশুটিকে দেওয়া হয়।
শিশুকল্যাণ বোর্ডের সভাপতি ইউএনও এবং সদস্যসচিব উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা। এ ছাড়া বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও আনসার–ভিডিপি কর্মকর্তা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফজলুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শিশুটিকে পেতে আগ্রহী দম্পতিদের সাক্ষাৎকার যাচাই-বাছাই করা হয়। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে চাকরিজীবী মধ্য বয়সী দম্পতির কাছে শিশুটিকে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই দিনই আনুষ্ঠানিকভাবে শিশুটিকে নতুন বাবা–মায়ের কাছে তুলে দেওয়া হয়।
এর আগে ১৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বদিউজ্জামান উচ্চবিদ্যালয়ের পাশে একটি শিমখেতে কান্না করছিল নবজাতকটি। ওই দিন সকালে মোহাম্মদ মোস্তফা নামে এক জেলে কন্যাশিশুটিকে উদ্ধার করেন। পরে উপজেলার হারামিয়া ইউনিয়নের স্বর্ণদ্বীপ হাসপাতলে এনে তাকে ভর্তি করেন তিনি। এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠলে তাকে নতুন বাবা–মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।