সময় শেষের ২১ মাস পরও কাজ শেষ হয়নি, দুর্ভোগ

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের মাইজবাড়ী-সলপ সড়কের কাজ ঝুলে আছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে
ছবি: প্রথম আলো

সড়কের কাজের সময়সীমা শেষ ২১ মাস আগে। কিন্তু ঠিকাদার এখনো কাজ শেষ করেননি। এ অবস্থা সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার মাইজবাড়ী-সলপ সড়কের। এতে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সেলবরষ ইউনিয়নের মাইজবাড়ী গ্রামের সামনের সড়ক থেকে আবদুল খালেক আহমদ সাহেবের বাড়ির সামনে হয়ে সলপ পূর্বপাড়া মসজিদ পর্যন্ত সড়কটির দূরত্ব এক কিলোমিটার। ২০১৯ সালে এই মাটির সড়ক টেকসই করার জন্য ইট বিছানোর বরাদ্দ (এইচবিবি) পাওয়া যায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে। দরপত্রের মাধ্যমে ৫৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকার কাজটি পায় কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার মেসার্স হামিদা কনস্ট্রাকশন।

২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ওই বছরের ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় ২০২০ সালের ৩ মার্চের মধ্যে কাজ শেষ করার অনুমতি চায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যেও কাজ শেষ করা হয়নি। এক বছর আগে ঠিকাদার সড়কটিতে সামান্য মাটি ফেলেন ও বক্স কাটেন। এরপর কাজটি বন্ধ করে দেন। এদিকে গত বছর বন্যা হওয়ায় সড়কটির বেশ কিছু অংশের মাটি সরে যায়।

স্থানীয় ব্যক্তিরা বলেন, মাটির সড়কটিতে ইট না বিছানোয় মাইজবাড়ী, মাটিকাটা, নতুনবাড়ী, বীর দক্ষিণ-পশ্চিমপাড়া, বীর দক্ষিণ-পূর্বপাড়া, বীর দক্ষিণ প্রচারপাড়া, সলপসহ আশপাশের ৮ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এ গ্রামীণ সড়ক দিয়ে তাঁরা উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন। এ সড়ক দিয়ে বিভিন্ন হাটবাজারে যাতায়াত করেন তাঁরা।

এ বিষয়ে হামিদা কনস্ট্রাকশনের ঠিকাদার রিপন খানের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। তবে সম্প্রতি তাঁর ছোট ভাই আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘নানা ঝামেলার কারণে পুরো কাজটি শেষ করতে পারিনি। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজটি শুরু করব।’

ইউএনও মো. মুনতাসির হাসান বলেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালকের কাছে ইতিমধ্যে চিঠি পাঠানো হয়েছে।