সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব: মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘আমি প্রথম দিকে কয়েকটি জনসভায় আকুতি জানিয়েছিলাম, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। আজকে এই সমাবেশ থেকে বলতে চাই, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই না। আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব, এই সরকারের পতন ঘটাব। এই সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব।’
আজ বুধবার বিকেলে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বুড়িরহাট মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস এ কথা বলেন। দীর্ঘ আট বছর পর বাধাহীনভাবে বিএনপির এমন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলো। সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘যদি খালেদা জিয়ার সামান্যতম কোনো ক্ষতি হয়, বাংলাদেশের মাটিতে আওয়ামী লীগের টিকিটি খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই আমার সঙ্গে বসেন, আমি দেখিয়ে দেব কোনো ধারায় খালেদা জিয়ার মুক্তি দিতে হবে।’
সরকারের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আপনারা যত বাধা দেবেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন আরও বেশি ত্বরান্বিত হবে। এ কথা মনে রাখবেন।’ করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সভা-সমাবেশ বন্ধ রাখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপনাদের বইমেলা বন্ধ নেই। নির্বাচন বন্ধ নেই। বাণিজ্যমেলা বন্ধ নেই। কিন্তু করোনার অজুহাতে সমাবেশ বন্ধ রাখছেন। এরপরও আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না। খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন চলবে। এ আন্দোলন থামবে না। সারা দেশের জনগণ খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়, আন্দোলন করেই তাঁকে মুক্ত করবে।’
বুধবার বিকেলে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বুড়িরহাট মাঠে জেলা বিএনপির সমাবেশে হয়। দীর্ঘ আট বছর পর বাধাহীনভাবে বিএনপির এমন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলো।
রংপুর শহর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে সমাবেশস্থলে রংপুর জেলা শহর ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে যোগ দেন। বেলা তিনটার মধ্যে বুড়িরহাট ঈদগাহ মাঠ ও এর পাশে সমাবেশের বিরাট মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। বিকেল চারটায় সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান। তিনি বলেন, ‘কেবল তো ছয়জনের নামে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। বাংলাদেশে যাদের দায়িত্ব অপরাধী ধরার, আমেরিকানরা ধরেই ফেলেছে, এরাই হচ্ছে বড় অপরাধী। সব চোরের বড় চোর, সব অপরাধীর বড় অপরাধী। ওনার নিষেধাজ্ঞা আসছে। ওই ডাক্তার মুরাদের মতো আপনার পালানোর রাস্তা থাকবে না। আপনার পৃথিবী ছোট হয়ে আসছে। পৃথিবীর কোনো এয়ারপোর্টে আপনাদের জায়গা হবে না। তাই খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠান। আর অনতিবিলম্বে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।’
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রইস আহমেদের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু প্রমুখ।