সাংবাদিক পরিচয়ে মাদক বহন করতে গিয়ে গ্রেপ্তার ২

গাড়ির সামনে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের স্টিকার। রাখা আছে লোগোসংবলিত দুটো বুম। র‌্যাবের কাছে গাড়ির দুই আরোহী নিজেদের ওই টিভির সাংবাদিক পরিচয় দেন। তবে পরিচয়পত্র দেখাতে পারেননি। শেষে র‌্যাবের তল্লাশিতে গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় ৬৭ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর ভৈরব প্রান্তে এই ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তি হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার আহমেদাবাদ গ্রামের মোরশেদ মিয়া (৩১) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের মধ্যপাড়ার মো. শামিম (২৭)।

শুক্রবার বিকেলে র‌্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্প থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
র‌্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্প সূত্র জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্ত এলাকা থেকে আসা মাদক বিভিন্ন উপায়ে সারা দেশে পরিবহন করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে একটি চক্র আছে, যারা সাংবাদিক পরিচয়ে মাদক পরিবহন করে থাকে। গাড়ির সামনে যেকোনো টেলিভিশনের স্টিকার লাগিয়ে চলাফেরা করা চক্রটির প্রধান কৌশল।

বৃহস্পতিবার রাতে র‌্যাবের কাছে খবর ছিল সাংবাদিক পরিচয়ে একটি গাড়িতে মাদকের বড় চালান ঢাকার দিকে নেওয়া হচ্ছে। গোয়েন্দা অনুসন্ধানের তথ্যের সত্যতা পাওয়ার পর র‌্যাব সদস্যরা রাত ১২টার পর সেতুর ভৈরব প্রান্তে তল্লাশিচৌকি বসান। রাত একটার দিকে গাড়িটি সেতু অতিক্রম করার পর র‌্যাব আটকায়। এরপর মোরশেদ ও শামিম দুজনই নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দেন। পরে গাড়ির ভেতর থেকে গাঁজার চালানটি জব্দ করা হয়।

র‌্যাব হেফাজতে মোরশেদ বলেন, গাড়ির সামনে টেলিভিশনের স্টিকার লাগানো থাকলে সুবিধা। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে সুবিধা পাওয়া যায়। এই জন্যই তাঁরা মাদক বহনের সময় গাড়ির সামনে যেকোনো টেলিভিশনের স্টিকার লাগিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে বের হন। শামিমের ভাষ্যও একই রকম।

র‌্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের বলেন, আটক দুই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিক পরিচয়ে মাদক পরিবহন করে আসছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা রয়েছে। এই বিষয়ে র‌্যাব বাদী হয়ে ভৈরব থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছে। দুজনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।