সাটুরিয়ায় ইউপি নির্বাচনে ভোট পুনর্গণনার দাবি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়ন পরিষদে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজাহান আলী সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে
ছবি: আব্দুল মোমিন

নির্বাচনে কারচুপি ও ফলাফল ঘোষণায় অনিয়মের অভিযোগ করে ভোট পুনর্গণনার দাবি জানিয়েছেন মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজাহান আলী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। একই দাবি জানিয়ে তিনি আজ সকালে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে চিঠি দিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শাহজাহান আলী বলেন, গত রোববার চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ধানকোড়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটের দিন সকাল থেকে ভোটাররা বিপুল উৎসাহ নিয়ে ভোটকেন্দ্রে আসেন। বেলা ১১টার পর থেকেই ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গোলড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বরুন্ডি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কান্দাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের অনৈতিক সহযোগিতায় কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথে গিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী, তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট ও কর্মীরা কেন্দ্র ঢুকে প্রকাশ্যে ভোটারদের নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করেন।

লিখিত বক্তব্যে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আরও বলেন, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্রে কান্দাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট গণনার সময় তাঁর পোলিং এজেন্টকে ভোটকক্ষে আটকে রাখা হয়। ভোট গণনা না করে তাঁর স্বাক্ষর না নিয়ে বানোয়াট ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া ২ নম্বর ওয়ার্ডের মহিষালোহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়–সংলগ্ন পরিত্যক্ত জমিদার বাড়ি এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে উমানন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের অনৈতিক সহযোগিতায় তড়িঘড়ি করে বানোয়াট ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

এ বিষয়ে ওই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা লুৎফর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুর রউফ ৯ হাজার ১৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহজাহান আলী পান ৮ হাজার ১২৬ ভোট। অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হওয়ার কারণে তিনি (শাহজাহান আলী) এ ধরনের অভিযোগ করেছেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, নির্বাচনে কারচুপি ও ভোট পুনর্গণনার বিষয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজাহান আলীর লিখিত আবেদন পেয়েছেন। ফলাফল গেজেট প্রকাশের এক মাসের মধ্যে তিনি নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে পারবেন। ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।