সাতক্ষীরায় লকডাউনের মধ্যেও করোনা শনাক্তের হার সর্বোচ্চ
সাতক্ষীরা জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ৬৪ দশমিক ১৯ শতাংশ। জেলায় চলমান লকডাউনের নবম দিনে শনাক্তের এই হার সর্বোচ্চ। এই সময় করোনা ও করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন চারজন। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা জয়ন্ত সরকার জানান, গতকাল শনিবার সকাল আটটা থেকে আজ রোববার সকাল আটটা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৬৪ দশমিক ১৯ শতাংশ।
এর আগে গত শুক্রবার থেকে গতকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এ হার ৩৬ দশমিক ১৭ শতাংশ। এই হার ছিল গত এক সপ্তাহে সর্বনিম্ন। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে।
চিকিৎসা কর্মকর্তা জয়ন্ত সরকার আরও জানান, গতকাল সকাল আটটা থেকে আজ সকাল আটটা পর্যন্ত সাতক্ষীরা সদর হাসাপাতালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের আবদুল রহিম (৮৫) ও যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামের ইসমাইল হোসেন (৪০) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এ ছাড়া সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ফিংড়ি গ্রামের নজরুল ইসলাম (৭০) ও আশাশুনি উপজেলায় শোভনালী গ্রামের মুক্তার আলী (৬৫) মারা গেছেন।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন হুসাইন সাফায়াত জানান, সাতক্ষীরায় দ্বিতীয় দফা লকডাউন বাড়ানো হয়েছে। লকডাউন যাতে মানুষ মেনে চলে, সে জন্য পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু মানুষ সচেতন হচ্ছে না। শহর এলাকার পুলিশের ব্যারিকেড ও বাধার কারণে মানুষ কিছুটা স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য হচ্ছে। কিন্তু উপজেলা সদরের বাইরে লকডাউন মেনে চলার প্রবণতা খুবই কম। ফলে কমছে না করোনা সংক্রমণ।
সাতক্ষীরা জেলায় এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৫৫৪ নমুনা পরীক্ষা করে ২ হাজার ৩৭৬ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত করোনার উপসর্গে ২৪৭ জন ও করোনায় ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সিভিল সার্জন হুসাইন সাফায়াত আরও জানান, সাতক্ষীরা জেলায় এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৫৫৪ নমুনা পরীক্ষা করে ২ হাজার ৩৭৬ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। আজ সাতক্ষীরায় চিকিৎসা নিচ্ছেন ৬৯৬ জন করোনা রোগী। তাঁদের মধ্যে সাতক্ষীরার বিভিন্ন হাসপাতালে ৬১ জন ও বাকিরা বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ পর্যন্ত করোনার উপসর্গে ২৪৭ জন ও করোনায় ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।