আকারভেদে প্রতিটি বাঙ্গি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় কিনেছেন। এক ট্রাক বিক্রি করলে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা লাভ থাকে।
কৃষকেরা বলেন, এবার উপজেলায় এক বিঘা জমিতে রসুন পাওয়া গেছে ২০-২৫ মণ। মানভেদে প্রতি মণ রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায়। অথচ এক বিঘা জমিতে রসুনের আবাদে খরচ হয়েছে ৪২ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। পক্ষান্তরে এক বিঘা জমিতে উৎপাদিত বাঙ্গি ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। আর তরমুজ ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রসুনের চারা গজিয়ে ওঠার পর খেতের মধ্যে গর্ত করে পরিকল্পিতভাবে এই আবাদ করা হয়ে থাকে। রসুনের সঙ্গে বেড়ে উঠতে থাকে এ ফসল।
কৃষক বিমলচন্দ্র বলেন, গরম আর রমজানকে ঘিরে বাঙ্গি- তরমুজ উত্তোলন শুরু হয়। চাহিদা বেশি থাকায় ভালো দামও পাওয়া যায়। পক্ষান্তরে কাঁচা রসুনের দাম থাকে কম। সাথি ফসল বিক্রি করে এবার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে।
কৃষকেরা বলেন, এ বছর রমজানের শুরু থেকেই বাঙ্গি এবং মাঝামাঝি সময়ে তরমুজের উত্তোলন ও বাজারজাতকরণ শুরু হয়েছে। বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়ক, গ্রামের সড়কের ধার এবং মোড়ে মোড়ে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী মোকাম। মৌসুমি ব্যবসা হিসেবে এলাকার অনেকেই পাইকারি দামে কিনে দেশের অনেক মোকামে ট্রাক ভরে বাঙ্গি-তরমুজ পাঠাচ্ছেন।
ধারাবারিষা ইউনিয়নের দক্ষিণ নাড়ীবাড়ির ভ্রাম্যমাণ মোকামে কথা হয় শাহারুল ইসলাম ও রানা মিয়ার সঙ্গে। তাঁরা বলেন, কৃষকের খেত থেকে আকারভেদে প্রতিটি বাঙ্গি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় কিনেছেন। এক ট্রাক বাঙ্গি রাজধানীর কারওয়ান বাজার মোকামে বিক্রি করে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা লাভ থাকে। তাঁদের মতো অনেকেই দেশের বিভিন্ন মোকামে নিয়ে যাচ্ছেন বাঙ্গি, তরমুজ।
গুরুদাসপুর পৌরসভার খামারনাচকৈড় মহল্লার কৃষক তাজুল প্রামাণিক বলেন, দুই বিঘা কৃষিজমি ইজারা নিয়ে বাঙ্গি চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। দিনে কমপক্ষে ১০০টি বাঙ্গি বিক্রি করছেন প্রায় ৬ হাজার টাকায়। এতে রসুনের লোকসান পুষিয়ে যাবে। তবে এ বছর বৃষ্টি না হওয়ায় পোকামাকড়ের অতিরিক্ত আক্রমণে বাঙ্গির ফলন কম হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হারুনর রশিদ জানান, রসুনের সাথি ফসল আবাদে সহযোগিতা দিয়ে আসছে কৃষি বিভাগ। একই খেতে মিশ্র ফসল ফলিয়ে লাভের মুখ দেখছেন কৃষক। এতে জমির শতভাগ ব্যবহার নিশ্চিত হবে।