সান্তাহারে অটোরিকশাস্ট্যান্ডের জায়গা দখলের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ
বগুড়ার সান্তাহার জংশন শহরের একটি হোটেলের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য অটোরিকশার নির্ধারিত স্ট্যান্ড দখলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকেরা সান্তাহার-নওগাঁ সড়ক ও ডিজিটাল হোটেল স্টার নামের একটি হোটেল প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন। আজ সোমবার সকালে হোটেল স্টারের কর্মচারীরা স্ট্যান্ড দখল করতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সান্তাহার রেলওয়ে কানুনগো অফিসের কিছু লোক ও হোটেল স্টারের শ্রমিকেরা হোটেলের সামনে থাকা অটোরিকশার স্ট্যান্ড দখল করে দড়ি দিয়ে ঘিরে ফেলেন। বিষয়টি দ্রুত শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে কয়েক শ অটোরিকশাশ্রমিক ঘটনাস্থলে হাজির হন এবং রাস্তায় অটোরিকশা রেখে সান্তাহার-নওগাঁ সড়ক বন্ধ করে দেন। একই সময় তাঁরা ওই হোটেলের প্রবেশমুখে অটোরিকশা রেখে সেটি অবরোধ করে রাখেন। এ সময় অবরোধ স্থানের দুই পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে শহরে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে সান্তাহার টাউন ও আদমদীঘি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় শ্রমিকেরা রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। পরে বগুড়া অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নুর ইসলামের সঙ্গে পুলিশের আলোচনার পর শ্রমিকেরা অবরোধ তুলে নেন।
সান্তাহার শহর পুলিশের পরিদর্শক আরিফুল ইসলাম জানান, কারও সঙ্গে আলোচনা না করে ওই স্ট্যান্ডের জায়গা হোটেলকে দেওয়া রেল বিভাগের ঠিক হয়নি। এ বিষয় নিয়ে যেন কোনো প্রকার অরজাকতা না হয়, সে বিষয়ে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।
হোটেল স্টারের মালিক রানা হোসেন জানান, জায়গা দখলের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তাঁর হোটেলের অংশীদার কীভাবে এটা করেছেন, তিনি তা জানেন না। পরে বিষয়টি নিয়ে রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামানের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জায়গা বরাদ্দ দেওয়ার বিষয় অস্বীকার করে বলেন, পরবর্তী সময়ে হোটেলের জন্য গাড়ি পার্কিংয়ের প্রয়োজন হলে বিধি অনুযায়ী সেটার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।