ঢাকার সাভারের উলাইল এলাকা থেকে গত বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার হওয়া নারীর লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল রোববার রাতে তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওই নারীর নাম রেবেকা বেগম (৪০)। তাঁর বাড়ি সাভার পৌর এলাকার চাঁপান মহল্লায়। তিনি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার মহিদুল ইসলামের স্ত্রী।
মহিদুল গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তিনি সেখানেই থাকতেন। তাঁর স্ত্রী রেবেকা থাকতেন সাভারে। মাঝেমধ্যে তিনি (মহিদুল) সাভার আসতেন।
সাভার থানা–পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বছর দুয়েক আগে মহিদুলের সঙ্গে রেবেকার বিয়ে হয়। এটা রেবেকার দ্বিতীয় বিয়ে। মহিদুলকে বিয়ে করার পরও রেবেকা বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকতেন। বিষয়টি জানার পর থেকে মহিদুল তাঁর স্ত্রীকে সতর্ক করছিলেন। এরপরও রেবেকা তাঁর মতো চলতে থাকেন। গত বুধবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে মহিদুল তাঁর স্ত্রীর মুঠোফোনে কল করে তাঁর অবস্থান জানতে চান। রেবেকা তখন উলাইলে ছিলেন। মুঠোফোনে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে মহিদুল সেখানে গিয়ে তাঁর স্ত্রীকে এক ব্যক্তির সঙ্গে অনৈতিক অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তিনি (মহিদুল) উত্তেজিত হয়ে রেবেকাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখে কোনাবাড়ী চলে যান। এর আগেই ওই ব্যক্তি পালিয়ে যান।
সাভার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে রেবেকার কাছে পাওয়া মুঠোফোনের সূত্র ধরে গতকাল রাত ১০টার দিকে মহিদুলকে কোনাবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি রেবেকাকে খুন করার কথা স্বীকার করেছেন।