নাটোরের সিংড়া উপজেলায় এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় আবু সাঈদ ওরফে রাব্বী (২৪) নামের এক তরুণকে আটক করেছে টহল পুলিশের একটি দল। গতকাল বুধবার রাত একটায় নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের জামতলী এলাকায় ওই নারীকে একা পেয়ে আবু সাঈদ ধর্ষণ করেন।

আবু সাঈদ নাটোর শহরের তেবাড়িয়া হুগোলবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। আর ওই নারী ঢাকায় এক পোশাক কারখানায় কাজ করেন।

সিংড়া থানা সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাতে ধর্ষণের শিকার ওই নারী তাঁর মেয়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে ঢাকা থেকে সিংড়া বাসস্ট্যান্ডে আসেন। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা আবু সাঈদের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। পরে তাঁকে নিরাপদে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেন আবু সাঈদ। তাঁকে বিশ্বাস করে ওই নারী একটি অটোভ্যানে করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। পথে একটি নির্জন স্থানে পৌঁছালে ওই তরুণ ওই নারীকে ভ্যান থেকে নামিয়ে রাস্তার পাশে ধর্ষণ করতে থাকেন। এ সময় ঘটনাটি টহল পুলিশের চোখে পড়ে। পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার ও ওই তরুণকে আটক করে। এ সময় ওই তরুণ নিজেকে ওই নারীর স্বামী পরিচয় দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেন। তবে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তাঁদের দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়। রাতেই ওই তরুণকে সিংড়া থানায় নিয়ে আসা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ ব্যাপারে ধর্ষণের মামলা হলে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়। আজ দুপুরে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, গ্রেপ্তার তরুণের বাড়ি নাটোর শহরের তেবাড়িয়া হুগোলবাড়িয়া গ্রামে হলেও তিনি তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে আসছিলেন। তাঁকে হাতেনাতে আটক করা গেলেও ওই নারীকে বহনকারী অটোভ্যানের চালককে আটক করা যায়নি। তাঁকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।