সিংড়ায় একই নামে একাধিক ব্যক্তিকে কার্ড প্রদান, বিশৃঙ্খলায় মেলেনি পণ্য
নাটোরের সিংড়া উপজেলার শেরকোল ও কলম ইউনিয়নে কার্ড পেয়েও অনেকে পণ্য কিনতে পারেননি। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর পণ্য না পেয়ে তাঁদের খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। একই নামের একাধিক কার্ড বিতরণ করায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কলম ও শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, রোববার সকাল ৯টা থেকে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে টিসিবি পণ্য বিক্রির কথা থাকলেও কলম ও শেরকোল ইউনিয়নে বেলা ১১টায় পণ্য বিক্রি শুরু হয়। একই নামে একাধিক কার্ডধারী ব্যক্তির উপস্থিতি, তালিকায় নাম থাকলেও কার্ড হাতে না পাওয়া ও বিশৃঙ্খলার কারণে পণ্য বিক্রি শুরু করতে বিলম্ব হয়। লাইনে দাঁড়িয়ে হইচই ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটায় পণ্য সরবরাহ করা যাচ্ছিল না।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কলম ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা যায়, বানেকা বেগম, সাহানাজ বেগম, শাবনুর বেগম, সুফিয়া বেগমসহ অন্তত ১০ জন উপকারভোগীর কার্ড থাকলেও পণ্য না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। এ ছাড়া তালিকায় অনেকের নাম থাকলেও কার্ড না পাওয়ায় তাঁদের ছোট চিরকুট দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দায় বসিয়ে রাখা হয়েছে। তাঁরাও পণ্য না পেয়ে চিরকুট হাতে পণ্যের অপেক্ষায় দীর্ঘ সময় ধরে বসে আছেন। শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে গিয়েও একই চিত্র চোখে পড়ে।
কলম ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, একই নামে একাধিক কার্ড বিতরণ হওয়ায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। পণ্য নিতে আসা একই নামে দুই থেকে পাঁচটি কার্ডধারী ব্যক্তিকে পাওয়া গেছে।
শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মৃদুল কুমার তলাপাত্র বলেন, এটা তদারকির সমস্যা। এর জন্য ইউনিয়ন পরিষদ দায়ী নয়।
কলম ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল মতিন বলেন, এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫টি উপকারভোগীর কার্ড ডাবল এসেছে। তাঁদের আপাতত পণ্য দেওয়া হয়নি।
উপজেলার সহকারী প্রোগ্রামার মো. মাজদার আলী একই নামে একাধিক কার্ড বিতরণে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আজ যারা পণ্য কিনতে পারেননি, তাঁদের কাল পণ্য দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম সামিরুল ইসলাম বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন করে নানা সমস্যা চোখে পড়েছে। প্রথম দিন হওয়ায় কিছু ভুলত্রুটি হয়েছে। তাৎক্ষণিক সমাধানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে আর বিশৃঙ্খলা হবে না।