সিনহা হত্যা মামলায় দশম সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় তৃতীয় দফার দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। শুরুতে সাক্ষ্য দিচ্ছেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলার ১৫ নম্বর সাক্ষী জহিরুল ইসলাম।
সাক্ষ্য গ্রহণের দিক থেকে জহিরুল দশম সাক্ষী। তাঁর বাড়ি টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিষবুনিয়া গ্রামে। ওই গ্রামের মুইন্যার পাহাড়ে মেজর সিনহা ভিডিও চিত্র ধারণ করতে গিয়েছিলেন। ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা। ঘটনার সময় জহিরুল ঘটনাস্থলের আশপাশে ছিলেন বলে জানা গেছে।
আদালত পরিচালনা করছেন জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষী জহিরুল ইসলামকে জেরা করবেন।
আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর আগে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, আজ সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য চারজন সাক্ষীকে আদালতে উপস্থিত রাখা হয়েছে। গতকাল সোমবার এক দিনে তিনজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এই মামলার মোট সাক্ষী ৮৩ জন।
আজ সকাল সাড়ে নয়টায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ১৫ জন আসামিকে জেলা কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে আদালত প্রাঙ্গণে আনা হয়। এরপর আসামিদের আদালতে নেওয়া হয়। এর আগে মামলার চারজন সাক্ষী আদালতে হাজির হন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে মেজর সিনহা নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি, রামুতে একটি) মামলা করে। ঘটনার পর গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন মেজর সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।