সিলেটে কলেজছাত্র আরিফুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম (১৮) হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে কুষ্টিয়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ফিলিপনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বুধবার সকালে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) বি এম আশরাফ উল্যাহ প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম শামসুদ্দোহা সাদী (২০)। তিনি দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলাম টিকরপাড়া এলাকার মোবারক হোসেনের ছেলে।
আশরাফ উল্যাহ বলেন, ‘কলেজছাত্র আরিফুল হত্যা মামলার মূল আসামি শামসুদ্দোহাকে কুষ্টিয়া থেকে সিআইডি গ্রেপ্তার করেছে এমন তথ্য আমরা পেয়েছি।’
২১ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে আরিফুল তাঁর চাচাতো ভাই আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে কোচিংয়ে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। পথে সহপাঠীদের সঙ্গে দেখা করতে তিনি কলেজে যান। কলেজ থেকে বের হওয়ার পথে তাঁকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরদিন নিহত আরিফুলের চাচা শফিকুর ইসলাম বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও সাতজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, অভিযুক্ত শামসুদ্দোহা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এ জন্য সিলেট থেকে পালিয়ে কুষ্টিয়ায় গিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। তাঁকে ধরতে সিলেট মহানগর পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থাও ছায়া তদন্তের কাজ শুরু করে। এক পর্যায়ে সিআইডির একটি দল তাঁকে কুষ্টিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় আজ সিআইডির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের বিস্তারিত জানানোর কথা রয়েছে।
পুলিশের ওই সূত্র জানায়, আরিফুল হত্যা মামলাটি সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে। সিআইডির পক্ষ থেকে আসামিকে দক্ষিণ সুরমা থানায় এখনো হস্তান্তর করা হয়নি। আজ দুপুরের দিকে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
গত রোববার কলেজের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরিফুল হত্যার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান কলেজের অধ্যক্ষ মো. শামছুল ইসলাম। এদিকে হত্যাকাণ্ডের পর থেকে কলেজে চার দিন পাঠদান বন্ধ ছিল। আজ থেকে কলেজে পাঠদান শুরুর কথা রয়েছে।