সিলেটে নির্বাচনী সহিংসতায় মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪

হাতকড়া
প্রতীকী ছবি

সিলেটের গোলাপগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আবদুস সালাম (৬০) নামের একজনের মৃত্যু ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে গোলাপগঞ্জ থানায় ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ চৌধুরী গতকাল প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত রোববার চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ শেষে দুটি কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এমরান হোসেন ও তাঁর সমর্থকেরা। এমরান স্থানীয়ভাবে জামায়াত নেতা হিসেবে পরিচিত। রাত আটটার দিকে এমরানের সমর্থকেরা সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের বৈটিকর এলাকায় বিক্ষোভ করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। এ সময় পুলিশ শটগানের ২৬৭টি গুলি ছোড়ে। রাত ১০টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ঘটনাস্থল থেকে আবদুস সালামকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত ব্যক্তির বাড়ি উপজেলার লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণভাগ রামপা গ্রামে। তিনি বৈটিকর বাজারে সাইকেল ও রিকশা মেরামতের দোকান চালাতেন। গতকাল বেলা চারটার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে সালামের মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে গোলাপগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহরম আলী বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন। মামলায় গত রোববার রাতে আটক হওয়া চারজনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁরা হলেন রফিপুর দক্ষিণ মাইজভাগ গ্রামের মো. ফলিখ আহমদ (৩০), রণকেলী দিঘিরপাড় গ্রামের মিরন আহমদ (২৮), ফুলবাড়ি টিকরপাড়া গ্রামের কামরান আহমদ (২৫) ও আবদুর রহিম (৩৮)।

গোলাপগঞ্জ থানার ওসি হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, মামলায় আগে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার চারজনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।