সিলেটে পানির বর্ধিত বিল না কমালে নগর ভবন ঘেরাওয়ের হুমকি
পানির বর্ধিত বিল না কমালে সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা নগর ভবন ঘেরাও করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। আজ সোমবার বেলা ১১টায় নগরের সাপ্লাই রোড এলাকায় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সর্বস্তরের নাগরিকবৃন্দের ব্যানারে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে ওই হুমকি দেওয়া হয়।
এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর সিটি করপোরেশন গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে পানির বিল দ্বিগুণেরও বেশি বাড়ানোর বিষয়টি জানিয়েছে। এর পর থেকে পানির বর্ধিত বিল প্রত্যাহারের দাবিতে সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে স্মারকলিপি পেশ ও প্রতিবাদ সভাসহ নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করেছেন। আজও নগরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা পানির বর্ধিত বিল প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন।
মানববন্ধন চলাকালে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক জুবের খানের সভাপতিত্বে ও মো. মুহিবুর রহমান বকস আবুর সঞ্চালনায় এ সমাবেশ হয়। এতে বলা হয়, পানির বিল বাড়ানোয় নগরবাসী বিপাকে পড়েছেন। তাই অবিলম্বে পানির বর্ধিত বিল প্রত্যাহার করতে হবে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সিলেট করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালিক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাশেদ আহমদ, আইনজীবী মশরুর চৌধুরী, কামরুল হাসান, জুনু মিয়া, কামরান আহমদ, আমিনুর রহমান, নওফেল আহমদ প্রমুখ।
কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাজী আহমদ হোসেন, হাজী দিলু মিয়া, আফতাব আলী, সামছুজ্জামান সাবুল, কলিম উল্লাহ, সোহেল আহমদ, সাবের চৌধুরী, কামরান আহমদ, হাজী রায়হান আহমদ, শুকুর আহমদ, মোস্তাক আহমদ, আনোয়ার হোসেন, জি এম নজরুল, হাবিবুর রহমান, বাবুল বকস, মখলিছ আহমদ, মাহতাব উদ্দিন, সৈয়দ সুমন আহমদ, রাকু আহমদ, আরিফ আহমদ প্রমুখ।
সিটি করপোরেশনের পানি শাখা সূত্রে জানা গেছে, প্রতি মাসে আধা ইঞ্চি ব্যাসের লাইনের ক্ষেত্রে আবাসিক গ্রাহকদের ২০০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকা এবং বাণিজ্যিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও সরকারি গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ৪০০ টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পৌনে এক ইঞ্চি ব্যাসের লাইনের ক্ষেত্রে প্রতি মাসে আবাসিক গ্রাহকদের জন্য ৪০০ টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা এবং বাণিজ্যিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও সরকারি গ্রাহকদের জন্য ৭০০ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রতি মাসে এক ইঞ্চি ব্যাসের লাইনের ক্ষেত্রে আবাসিক গ্রাহকদের জন্য এক হাজার টাকার পরিবর্তে দেড় হাজার টাকা, বাণিজ্যিক গ্রাহকদের দেড় হাজার টাকার পরিবর্তে ২ হাজার ২০০ টাকা, প্রাতিষ্ঠানিক গ্রাহকদের দুই হাজার টাকার পরিবর্তে তিন হাজার টাকা এবং সরকারি গ্রাহকদের এক হাজার টাকার পরিবর্তে দেড় হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।