সিলেটে সপ্তাহের মধ্যে জ্বালানি তেল সংকটের সমাধান না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিলেট বিভাগীয় শাখার সভায় জ্বালানি সংকট সমাধানের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। মঙ্গলবার রাতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার চণ্ডীপুলে একটি কনভেনশন হলে
ছবি: প্রথম আলো

সিলেটে এক সপ্তাহের মধ্যে জ্বালানি তেল সংকটের সমাধান না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার চণ্ডীপুলে একটি কনভেনশন হলে সভা করে এই হুঁশিয়ারি দেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিলেট বিভাগীয় শাখার নেতারা।

সংগঠনটির নেতারা বলেন, সিলেটে জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। দিন দিন এ সংকট আরও বাড়ছে। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে বিভিন্ন খাতের মানুষের জীবনযাত্রা।

সভায় সংগঠনটির সভাপতি মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তৃতা দেন খান মো. ফরিদ উদ্দিন, নুরুল ওয়াছেহ আলতাফী, হুমায়ুন আহমেদ, সায়েম আহমেদ, জুবের আহমেদ চৌধুরী, রিয়াশাদ আজিম হক, সিরাজুল হোসেন আহমদ, সাহেদ আহমদ চৌধুরী, এনামুল হক রুবেল, রিয়াদ উদ্দিন, মনিরুল ইসলাম, আখতার ফারুক, লোকমান আহমদ মাছুম, আফজাল আহমদ, আবদুল কুদ্দুস তালুকদার, আবদুল মুমিন, ফয়জুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, ইউনুস আলী, নাদিম রহমান, জহির উদ্দিন মো. বাবর, মশিউর রহমান, মো. ছানাওয়ার আলী প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সিলেটে প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ লিটার জ্বালানি তেলের চাহিদা আছে। এর মধ্যে বর্তমানে সরবরাহ আছে প্রায় এক থেকে দেড় লাখ লিটার। বর্তমানে যে তেল সরবরাহ হচ্ছে, তা সিলেটের চারটি ডিপোর মধ্যে ভাগ করে নিতে হয়। এর জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানই তাঁদের গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করতে পারছেন না। তাঁদের ধারণা দেশে তেল সংকট না থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে সরকারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করা ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই কৃত্রিমভাবে এই সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ জন্য জ্বালানি তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা, মেঘনা, যমুনা কোম্পানির জেলা বিপণন কর্মকর্তারা দায়ী। দায়ী ব্যক্তিদের অপসারণও দাবি করেন তাঁরা।