সিলেটে হরতাল সমর্থনে মিছিল, সড়কে অবস্থান
সিলেটে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা আধা বেলার হরতালের সমর্থনে মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় সিলেট নগরের সুরমা মোড় এবং কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় সড়কে অবস্থান নেন বাম জোটের নেতা-কর্মীরা।
আজ সোমবার সকাল ছয়টার দিকে হরতালের সমর্থনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের শরীক দল সিপিবি, বাসদ, বাসদ (মার্কসবাদী) ও অন্যান্য দলের নেতা–কর্মীরা মিছিল বের করেন। মিছিলটি নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আম্বরখানায় গিয়ে অবস্থান নেয়। পরে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সোয়া ১০টা পর্যন্ত বন্দরবাজার, সুরমা মোড় ও কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সরেজমিন দেখা যায়, হরতালের কারণে আজ সকালে সিলেট নগরীতে অন্যান্য দিনের তুলনায় যান চলাচল কিছুটা কম দেখা গেছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ ছাড়া নগরের অভ্যন্তরে বিভিন্ন বিপণিবিতান ও দোকানপাট কিছুটা দেরিতে খুলতে দেখা যায়।
এদিকে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ বাম জোটের নেতা-কর্মীরা সুরমা মোড় এলাকা থেকে হরতালের সমর্থনে মিছিল নিয়ে কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় গেলে ওই সময় সড়কে থাকা যানবাহনগুলো সড়িয়ে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে বাম জোটের নেতা-কর্মীরা সড়কে অবস্থান নেন। এ সময় সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বাম গণতান্ত্রিক জোট সিলেট জেলার সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাছান, বাসদের (মার্কসবাদী) জেলা আহ্বায়ক উজ্জ্বল রায়, বাসদের জেলা সমন্বয়ক আবু জাফর, বাসদের জেলা সদস্য প্রণব জ্যোতি পাল।
এদিকে সমাবেশের খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় পুলিশের একটি টহল দল অবস্থান করে। এ সময় হরতাল সমর্থনকারীরা পুলিশের মুখোমুখি অবস্থান করে স্লোগান দিতে থাকেন। তবে কিছুক্ষণ পরই হরতাল সমর্থনকারীরা কোর্ট পয়েন্ট এলাকা ত্যাগ করেন। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশও ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।
প্রণব জ্যোতি পাল বলেন, নেতা-কর্মীরা অহিংসভাবে হরতাল পালন করছেন। হরতালের সমর্থন জানিয়ে সড়কে যানবাহন চলাচল লক্ষ করা যায়নি বলে তিনি দাবি করেন।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের জানমাল রক্ষায় পুলিশ কাজ করছে। হরতালের সময় কোতোয়ালি থানা এলাকায় কোনো বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি।